বাধ্যতামূলক অবসরে না.গঞ্জের সাবেক ডিসি রাব্বী মিয়া

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

বাধ্যতামূলক অবসরে না.গঞ্জের সাবেক ডিসি রাব্বী মিয়া
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করা রাব্বী মিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা যায়। ১৭তম বিসিএস কর্মকর্তা রাব্বী মিয়া ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) রাব্বী মিয়া এর চাকরিকাল ২৫ (পঁচিশ) বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাঁকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে; সেহেতু সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাঁকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ৫ এমপি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।
এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে গাজী গোলাম দস্তগীর ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩৯ ভোট পেয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ধানের শীষের কাজী মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৩৪ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম বাবু পেয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৭২২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ধানের শীষের নজরুল ইসলাম আজাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ১২ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে লিয়াকত হোসেন খোকা পেয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ধানের শীষের আজহারুল ইসলাম মান্নান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৭ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে একেএম শামীম ওসমান পেয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ধানের শীষের মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৫৮২ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে একেএম সেলিম ওসমান পেয়েছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ধানের শীষের এসএম আকরাম পেয়েছেন ৫২ হাজার ৩৫২ ভোট। প্রতিটি আসনে প্রায় ৮০ শতাংশের উপর ভোট পড়ে। ব্যাপক সহিংসতা, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখার মতো গুরুতর অভিযোগ ছিল এই নির্বাচনে।