Logo
Logo
×

বিশেষ সংবাদ

আড়াইহাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

আড়াইহাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

ব্রাহ্মন্দি’র সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়া

Swapno

আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। সাংবাদিকদের দুদক জানায়, চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের লাক মিয়ার ৪৯ টি অ্যাকাউন্টে এ ধরণের সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এ সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।



দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, লাক মিয়ার ৫৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। অথচ তার বৈধ আয়ের উৎস মাত্র ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। তার ব্যাংক লেনদেনে দেখা যায়, ৭ হাজার ১৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা জমা এবং ৭ হাজার ১৮৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলনের হিসেব। তিনি ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি বলেও জানা দুদক।



অন্যদিকে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার জ্ঞাত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। লাক মিয়া যখন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের ১৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ২৩০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা জমা এবং ২৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা উত্তোলন হয়েছে। ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এসব লেনদেন করা হয়েছে।



শুধু তাই নয়, লাক মিয়ার বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. মহসিন মোল্লার ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ১০ হাজার ৩২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় দুদক। অথচ তার মাসিক বেতন ছিল মাত্র ১২ হাজার টাকা। যদিও তিনি দুইটি প্রতিষ্ঠানের (এনআরবি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এবং এম/এস এনআরবি ট্রেডার্স) এমডি বা স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তার ব্যাংক হিসাবে দেখা যায়, ৫ হাজার ১৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা এবং উত্তোলন দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ১৬১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। তাই মহসিন মোল্লা ও তার স্ত্রীর নামে নতুন করে অনুসন্ধান ফাইল খুলে বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন