গাবতলী সোসাইটির নামে উঠানো ৬ কোটি টাকার হিসাব দেননি জীবন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা গডফাদার শামীম ওসমানের মেঝ ভাই সেলিম ওসমানের সাথে একান্ত বৈঠকে রফিকুল ইসলাম জীবন
গডফাদার শামীম ওসমানের শিষ্য পরিচয়ে গত ১০ বছরে ধরে গাবতলী সোসাইটির সভাপতি পদ আকঁড়ে রেখেছেন রফিকুল ইসলাম জীবন। প্রতি মাসে সোসাইটির নামে ৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়। এভাবে গত ১০ বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় হলেও হিসাব বুঝিয়ে দিতে তালবাহানা করছে জীবন। হিসাব চাইলেই নিউজ করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে শামীম ওসমানের এই শিষ্য। এনিয়ে সোসাইটির সদস্যদের সাথে জীবনের ব্যাপক মনমালিন্য চলছে।
গাবতলী সোসাইটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গাবতলী সোসাইটির প্রায় ১০ বছর ধরে সভাপতি রফিকুল ইসলাম জিবন। এই ১০ বছর সোসাইটির নামে প্রতিটি বাসা,দোকান ও ভাসমান দোকান ফুটপাত থেকে যে চাঁদা উঠে তার পরিমান প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। মাসে ৫ লাখ টাকা করে ১০ বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা উঠেছে গাবতলী সোসাইটির ব্যানারে।কিন্তু কোনো দিন সে কোনো এর হিসেব দেয়না। কেউ হিসেব চাইতে গেলে তাকে লাঞ্ছিত হতে হতো। সে হয়ে উঠেছিলো গাবতলী-ইসদাইরের স্বৈরাচার।
তার সম্পর্কে এলাকাবাসী আরোও জানান, এই রফিকুল ইসলাম জীবন মামুন নামের এক ব্যাক্তিকে দিয়ে সোসাইটির টাকা সংগ্রহ করে। সে অনেকটা অত্যাচার করেই এই টাকা সংগ্রহ করে। কোনো গরীব ভ্যান এ করে সবজি বিক্রি করা ব্যক্তিকেও চাঁদা দিতে বাধ্য করতো। কেউ চাঁদা না দিলে তার সবজি নিয়ে যেতো। কিন্তু জীবনের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পেতোনা। কিন্তু এখন সবকিছু নিয়ে মানুষ অনায়াসেই মুখ খুলছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে জীবন সোসাইটির সভাপতি থেকে বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করে এখন সে বলে বেড়াচ্ছে আর সোসাইটি থাকবো না। ঈদের পর পদত্যাগ করবো। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, তার তো পদত্যাগ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, বিগত ১০ বছরের হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে তারপর পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় এলাকাবাসী এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। তারা আরোও জানান, এই জীবন এখন আবার বলে বেড়াচ্ছেন জাকির খান জেল থেকে বের হয়ে আসলে সে জাকির খানের উপদেষ্টা হবে। এই কথা বলে বেড়াচ্ছে এখন এলাকাবাসীর কাছে।