
প্রিন্ট: ০৮ মে ২০২৫, ০২:২৬ এএম
সাংবাদিক জীবনের নানা অপকর্মের কাহিনী তুলে ধরলেন গাবতলীবাসী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

সাংবাদিক জীবনের নানা অপকর্মের কাহিনী তুলে ধরলেন গাবতলীবাসী
আরো পড়ুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্মদলের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার ক্রিড়া সম্পাদক সজিব চৌধুরী গাবতলী সোসাইটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন প্রসঙ্গে এক স্বাক্ষাৎকারে জানান, রফিকুল ইসলাম জীবন একজন পরীক্ষিত মোনাফেক। ইসদাইর গাবতলী বাসী তার আতঙ্কে অতিষ্ঠ। ইসদাইর গাবতলীবাসী তার থেকে নিস্তার চায়। বিগত সতেরো বছর ফ্যাসিস্টদের আমল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সে সক্রিয়।
তার কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। যুবলীগ,ছাত্রলীগ, এখনো তাদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য সে উঠেপড়ে লেগেছে। সরকার পতনের পর সে সোসাইটি নিয়ে মিটিং এর কথা বলে জুট সেক্টর নিয়ন্ত্রনে ব্যস্ত। একাধিক জায়গা থেকে সে ঝুটেরর ভাগ পায়। সে এলাকায় ২০ শতাংশ নামে বিখ্যাত হয়ে গেছে। যারা এলাকার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর তাদের সকলকে তার কলমের ক্ষমতা দেখিয়ে দাবিয়ে রাখতে চায়।সে যা ইচ্ছা তা করে। পত্রিকায় লিখে দেয় যারা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
মানুষ শান্তিমতো থাকতে পারতেছে না, সবাই অতিষ্ঠ। প্রতি মুহূর্তে মানুষ ভাবে তারা ফ্যাসিস্ট আমলে রয়েছে।সে পুলিশের ভয় দেখায় ও পত্রিকায় নিউজ এর ভয় দেখায়।সে মানুষকে জিম্মি করে রাখছে। এই রফিকুল ইসলাম জীবন থেকে নিস্তার চায় সবাই। সে আওয়ামী লীগের দালাল। দুইটা মসজিদ আছে। একটা গাবতলীর মাথায় বায়তুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদ। আরেকটা হলো শাহী জামে মসজিদ।
সে এক ওয়াক্ত নামাজও মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করে না অথচ প্রত্যেকটা কমিটির ভিতরে সে হস্তক্ষেপ করে জোরজবরদস্তি করে কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতির পদ নিয়ে বসে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে তাকেই সে পুলিশের ভয় দেখায়। এতদিন ধরে সে এ কাজই করতেছে।
সজিব চৌধুরী বলেন, কিছু লোক আছে তার সাথে সমপরিমাণ অপকর্মের সাথে জড়িত। তারা একসাথে মিলে এই জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কারণ তারা জমি দখল, গার্মেন্টসের শ্রমিকদের নির্যাতন করে। কিছু শিল্পপতি আছে দু'একজন তাদেরকে নিয়ে এই কাজটি করতেছে। আওয়ামী লীগের দালাল সে দোসর। এত অপকর্ম যে তা লিখে রাখতে হয়। তার রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রণ নেয় সব কিছু। সে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাতে মাদক ব্যবসায়ী থেকে মাসোয়ারা নেয়।
এই ক্যামেরা দিয়ে পুরা গাবতলি বাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। আধিপত্য ধরে রাখার জন্য। ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী আছে তারাও এর সাথে জড়িত। তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় ওর বাড়িতে। রাতে আওয়ামী লীগের দোসর লুকিয়ে ছিল তারা বাসায়। তার বাসা থেকে বেশ কিছু লাগেজ নিয়ে তার বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেছে।ভিডিও ফুটেজ সে সবকিছু সরিয়ে রাখে। জুলাই আন্দোলন থেকে শুরু করে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত যত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল প্রমাণ ছিলো সে ডিলেট করে দিয়েছে।
এসব প্রমাণ সিসিটিভির ফুটেজে রাখে না। আপনাদের সকল সাংবাদিক ভাইদের ও প্রশাসনের কাছে একটাই অনুরোধ আপনারা এই জীবনের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেন। যত সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছে তাদের সকলকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। কারণ এই রফিকুল ইসলাম জীবন। গত সতেরো বছর যারা ইসদাইর গাবতলীতে বিএনপি করেছে তার পিছনে যায়নি। তাদেরকে নিয়ে নেওয়ার জন্য বহুভাবে অপচেষ্টা চালিয়েছে।আমাকেও মিথ্যা ডাকাতি মামলা দিয়ে আমাকে অ্যারেস্ট করে।
একজন ফুটবল প্লেয়ার নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিত্ব করেছি তিনবার। জেলার ক্যাপ্টেনসি তিনবার করেছি।আমাকে অযথা এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। প্রতিনিয়ত আমাকে থ্রেড করেছে। তার কোন সিএস নাই। সে বাড়ি কিনছে। এখন সে চিন্তা করছে এই এলাকার প্রকৃত স্থানীয়। অথচ সে স্থানীয় কেউ নয়। বক্তাবলী থেকে তাকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ যে এই রফিকুল ইসলাম জীবন নামের ঘাতককে আপনারা ছাড় দিবেন না। ওর বিচার করুন। না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার এই আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।