সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

অধরা চাঁদাবাজ ডন মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২২  


# বড় ভাই-শ্রমিক নেতা, তাই সব তার দখলে

# অভিযোগ রয়েছে, হাইওয়ে পুলিশকে মাসোহারা দেয় তার সাঙ্গপাঙ্গরা
 

বার বার চাঁদাবাজি মামলা গ্রেফতার হয়েও পার পেয়ে যায় সাইনবোর্ড মোড় সিএনজি স্ট্যান্ডের চিহ্নিত চাদাঁবাজ। একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে এসে আবার পুনরায় চাদাঁবাজিতে জড়িয়ে পড়েন মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদ।  

 

 

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এবার তার চাঁদাবাজির পরিসর বড় হতেত শুরু করেছে। সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জ লাইনে সিএনজি চালুন করা কয়েকশ চালকদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিচ্ছে।

 

 

তাই সচতেন মহল বলছে, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে যারা চাঁদাবাজি করেন তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তাই এদেরকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান নগরবাসী।

 

 

চাঁদাবাজি করার পরেও কি করে এই চাদাঁবাজ ডন মাসুদ অধরা থাকেন তা নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে? এদিকে নারায়ণগঞ্জে সাইনবোর্ড এলাকার চিহ্নিত চাদাঁবাজ মাসুদকে নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়েছে।

 

 

এই চাদাঁবাজ মাসুদ এর আগে একাধিকবার র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। মাসুদ নিজেও তা অকপটে স্বীকার করেন। তবে তার দাবী, তিনি এখন আর চাদাঁবাজি করেন না। তার বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগের তীর রয়ে গেছে। কিন্তু তার বিষয়ে ‘যুগের চিন্তা’র অনুসন্ধানে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

 

 

এদিকে সিএনজি চালকদের সাথে কথা হলে একাধিক চালক জানান, এই মাসুদ ৬ থেকে ৭ বছর আগেও সিএনজি চালক ছিলেন। এখন তিনি প্রায় ১২ টি সিএনজির মালিক হয়ে গেছেন। যে গুলো থেকে সে দৈনিক ৬০০ টাকা পেয়ে থাকেন।

 

 

সেই হিসেবে দৈনিক হিসেবে প্রায় ৭ থেকে ৮  হাজার টাকা আসে। এছাড়া দৈনিক চাদাঁবাজির টাকাতো আছেই। চালকরা প্রশ্ন তুলেন মাসুদ যখন সাইনবোর্ডে চাদাঁবাজি শুরু করেন; তখনি তার ভাগ্যের পরিবর্তন হতে থাকে। যার ফলে, সে এখন প্রায় ১২ টি সিএনজির মালিক। রোড পার্মিসটসহ এক একটা সিএনজির মূল্য আছে ৬ লাখ টাকার মত। যার মোট মূল্য আছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।

 

 

এছাড়া ইতোমেধ্য চাদাঁবাজির বদৌলতে তিনি শনির আখড়ায় বাড়ি করেছেন বলে সূত্রমতে জানা যায়। সেই সাথে পুলিশ বক্সের দুইটা দোকান এডভান্স ১০ লাখ টাকা ও মাসে ৭০ হাজার টাকা ভাড়া নিচ্ছে তার সাঙ্গপাঙ্গ টোকাই সেলিম, লিটু ও সৈকতের মাধ্যমে। 

 

 

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন যাবত মাসুদের নেতৃত্বে এখানে চাঁদাবাজি চক্র গড়ে উঠেছে। সাইনবোর্ড থেকে ডগাইর রোডে ব্রীজের পাশেই সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে বাজার স্থাপন করে চাঁদাবাজি করেন তিনি।

 

 

চাদাঁর টাকা কালেকশন করে মাসুদ, মন্জু, দৈনিক কারেন্ট বিল ২০০ টাকা, আর দোকান প্রতি এডভান্স ৪০ হাজার টাকা, সাইনবোর্ড -কোনাপারা অটোস্ট্যান্ড থেকে প্রতি গাড়ি ৬০ টাকা করে চাঁদা নেন মাসুদ। এছাড়া সিএনজি থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে নেন।

 

 

আবর কারো কাছ থেকে ৫০ টাকা করেও চাঁদা নেন। এমনকি মাসে ১২০০ থেকে ১৫০০ করে চাঁদা  নিয়ে থাকেন চাঁদাবাজ মাসুদ। চাদাঁবাজ মাসুদের সাথে সহযোগি হিসেবে রয়েছেন কবির, রেজু, মঞ্জু, সেলিম ওরফে টোকাই সেলিম ও লিটু।

 

 

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সরকারী খাস জায়গায় দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সরকারি জায়গা দখল করে কাঁচা বাজার দিয়ে সেখান থেকেও প্রতিদিন ভালো অংকের চাদাঁ তুলে থাকেন। এই ভাবে চাদাঁবাজেদর ডন হয়ে গেছেন তিনি।

 

 

এই মাসুদ নোয়াখালী চৌমুহনি থেকে এসে এখানে চাদাঁবাজি চক্র গড়ে তুলে; এখন কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়ায় তাকে নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যপক আলোচনা তৈরী হয়েছে।

 

 

সাইনবোর্ডেরে কয়েকজন দোকানদার জানান, ইউনিক বাসের কাউন্টার বসানোর জন্য ৫ লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা এখানে চাঁদাবাজি করেন, বলে জানান স্থানীয়রা। র‌্যাব তাদের গ্রেপ্তার করলেও তারা জামিনে এসে আবার চাদাঁবাজিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তুলেন স্থানয়ীরা।


 

মাসুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “তার বিরুদ্ধে আনা সকল  অভিযোগ মিথ্যা। তাছাড়া তার কোন সিএনজি নাই, বলে জানান তিনি। তিনি জায়গা ভাড়া নিয়ে বাজার দিয়েছেন। তবে কার কাছ থেকে নিয়েছেন তার নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইনবোর্ডে বড় করে লেখা আছে।” এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর