মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১

অনিয়ম কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৩  

 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান।এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখন পর্যন্ত সুনামের সাথে এই বিদ্যায়লটির শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর এই বিদ্যালয়টি প্রথমে টিনের কয়েকটি কক্ষ থাকলেও বর্তমানে এই বিদ্যালয়টিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন এমনকি বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়ে সহ দুইটি শিফটে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। তবে এই বিদ্যায়টির যেমন নারায়ণগঞ্জে সুনাম রয়েছে তার থেকে বেশি অনিয়ম ও রয়েছে। 

 

 

বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়টির অনিয়ম নিয়ে পত্র পত্রিকায় শিরোনাম ও হয়েছে। জানা যায়, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সময়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিরত হয়েছে। বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষক এমপিও ভূক্ত এবং বিদ্যালয় থেকেও বেতন পায় তার পরও দেখা গেছে বিদ্যালয়ে প্রতিটি শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজের কাছে কোচিং করানোর জন্য অনেকটা বাধ্য করে।

 

 

তবে সরকারি নিষেধ অনুযায়ী কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের কোচিং করাতে পারবে না । শুধু তাই নয় অনেকেই অভিযোগ করেছেন পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান  প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্র  নাথ সরকারের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বের মেয়াদ আরও বেশ কয়েকবছর শেষ হলেও এখনো দখল করে আছেন প্রধান শিক্ষকের চেয়ারটি। 

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্থানীয় সাংসদের প্রভাব খাটিয়ে তিনি এখনো তার অবস্থান ধরে রেখেছেন। অন্যদিকে আর এই পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে কোন ভাবেই অনিয়ম কমানো যাচ্ছেনা। বেশ কিছুদিন আগের উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠলে  নারয়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকায় নিউজটি হলে সাথে সাথেই তাদের সিদ্ধান্ত বদলিয়ে আবারো সেই শিক্ষাথীদের কাছ আগের নিয়মেই টাকা নেওয়া হয়েছে।

 

 

তবে নেই ঘটনার এক মাস না পেরতেই আবারো আলোচনায়- সমালোচনা শুরু হয়েছে। জানা যায় ,কোন রকম নোটিশ ছাড়াই নিজেদের মতো করে বেতন বাড়িয়েই যাচ্ছে এবারো তার কোন রকম ব্যতিক্রম ঘটেনি।হঠাৎ করেই ৩৫০ টাকা বেতনকে ৪৫০ টাকা করার অভিযোগ এসেছে। আর হঠাৎ করেই বেতন বাড়ায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনেকটাই হতাশ হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা । পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে অনেক অনেক অভিভাবক সামাজিক মাধ্যমেও ক্ষিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। 

 

 

এসময় অভিভাবকরা দাবি করেন হঠাৎ করেই বেতন ও পরীক্ষার ফিস বাড়ানো হলো কিন্ত এভাবে বেতন বাড়তে থাকলে আমরা কি করে সন্তানদের পড়াশুনার খরচ চালাবো আমরা চাই যেন এটার একটা সমাধান হোক এবং আগের বেতনের টাকাই রাখা হোক। এসময় তারা আরও জানান শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ডায়েরী সিলেবাস কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে আর যা ডায়েরী মূল্য থেকেও বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। 

 

 

এ বিষয়ে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বেতন বাড়ানো হয়েছে কিন্ত ১০০ টাকা নয় ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আর এই বেতন বাড়ানো সিদ্ধান্ত রছরের শুরুতেই হয়েছে। এখন এটা নিয়ে বলার কি হলো। এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর