বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

অসহায় দিশেহারা বক্তাবলীর সাধারণ মানুষ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৪  


ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নে জমিজমা নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে সাধারন মানুষ। কারন ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষই নীরিহ। তাই এই নীরিহ মানুষগুলোর জমি জমা দখল করার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই ইউনিয়নের বিভন্ন এলাকার ভূমি দস্যুরা। আর এসব ভূমি দস্যুকে শেল্টার দিচ্ছে বেশ কয়েক জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

 

 

মূলত তাদের কারনেই ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যাবস্থা নিতে পারছেন না স্থানীয় চেয়ারম্যান। যার ফলে ওই এলাকায় সাধারন মানুষের মাঝে সরকারী দল আওয়ামী লীগের প্রতি চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে গোটা এলাকার সাধারন মানুষ।

 


এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন বর্তমানে বক্তাবলী ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন তিন জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ উল্লাহ এবং জাহাঙ্গীর আলম। মানুষ বিপদে পড়লে এদের স্মরণাপন্ন হন।

 


এদিকে এলাকাবাসী আরো জানিয়েছেন, এই তিনজন ছাড়াও গোটা এলাকা জুড়ে আরো কয়েকজন নেতা রয়েছেন। এরা সবাই মিলে এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এদের মাঝে একজন আছেন যিনি একজন বর্ষিয়ান নেতা। এলাকাবাসীর মতে এই বর্ষিয়ান নেতা এই বয়সে এসেও সারাক্ষন মানুষের গিবত নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন।

 

 

তিনি সাধারন মানুষকে কথায় কথায় মামলার হুমকি দেন। সেই হিসাবে তিনি একজন মামলাবাজ হিসাবেও পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকাবাসীর মতে চেছরা টাইপের এই নেতা কথায় কথায় মানুষকে মামলা করার হুমকি দিয়ে ভয় দেখান। আবার অনেককে দিয়ে মামলা করিয়ে নিজেদেও লোকদেরকে চরম হয়রানীর মাঝে ঠেলে দিয়েছেন।

 

 

ফেসবুকে এই নেতা বড় বড় কথা বলেন। মানুষকে ন্যায়নীতি শিখানোর বুলি ছাড়েন। অথচ নিজের অতীতই চরম কদর্যময়। ফলে এই ভন্ড নেতার হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 


এদের মাঝে আরো একজন আছেন তাকেও কেনা যায় অল্প টাকায়। নামের সাথে একটি বিশেষন না লাগালে অনেকে তাকে চিনেন না। এলাকাবাসী জানিয়েছে এই নেতা অল্প টাকায় বিক্রী হন। আর যারা টাকা দেন তাদের পক্ষেই রায় দেন এই নেতা। যার ফলে এদের কারনে গোটা বক্তাবলী ইউনিয়ন এখন রীতিমতো নড়কে পরিনত হয়েছে। তাই স্থানীয় এমপি একেএম শামীম ওসমান এখনই হস্তক্ষেপ না করলে এলাকাবাসী আরো চরম দূর্ভোগে পতিত হবেন।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর