শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

অয়ন ওসমানের ক্যাডাররা কোথায়?

এম মাহমুদ

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৪  

 

 

 

ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পরই নিপাত ঘটে ‘ওসমানীয় রাজত্বের’। কেননা শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর একদিকে উল্লাস চলে অন্যদিকে দীর্ঘদিন ওসমানদের দ্বারা এবং তাদের দোশরদের দ্বারা দীর্ঘদিনের নির্যাতিত নিপীড়িত আমজনতা তাদের ক্ষোভের বহিঃবিকাশ হিসেবে ওসমানীয় সাম্রাজ্য নিশ্চিহ্ন করে দিতে থাকেন। 

 

তবে নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের ওসমানীয় রাজত্বের নিপাত ঘটাতে গেলে আমজনতার বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর সাহসিকতা দেখাননি ওসমানদের দোশররা। কিন্তু কালে ভাদ্রে ওসমানরা বহু ক্যাডারের আত্মপ্রকাশ ঘটালেও সেসকল ক্যাডার বাহিনীরা ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষার্থে কোন প্রকার ভূমিকা রাখতে পারেননি। কারণ শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর ওসমানদের সাথে সাথে গা ডাকা দিয়েছেন তাদের দোশররা।


সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ একে এম শামীম ওসমানের আদরের দুলাল তার একমাত্র পুত্র একে এম অয়ন ওসমান ওসমানীয় রাজত্ব কায়েমে বিশাল এক ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেন পুরো নারায়ণগঞ্জ জুড়ে। তারা অধিকাংশই পূর্বে থেকেই সন্ত্রাশী কার্যকলাপ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু তাদের অপরাধের পরিমাপ অনুযায়ী তাদের ওসমানীয় রাজত্ব কায়েমের ক্ষমতা প্রদান করেছেন একে এম অয়ন ওসমান। 

 

তারা হলেন- হাবিবুর রহমান রিয়াদ সাবেক সভাপতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ, কাউছার হোসেন (ওরফে আহমেদ কাউছার আন্ডার মেট্রিক), আশরাফুল ইসলাম রাফেল সাবেক সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ, হাসনাত রহমান বিন্দু সাবেক সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ, আসাদুজ্জামান আসাদ জি এস তোলারাম কলেজ, শাহরিয়ার রহমান বাপ্পি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা, রাজীব সাহা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, হাজী সোহাগ রনি সাবেক সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ, শুভ রায় সাবেক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা, শওকত হোসেন সুমিত সাবেক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা, 

 

বাছেদ প্রধান মেম্বার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ, মেহেদী হাসান জুয়েল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ফাহাদ বিন জয়নাল সাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতা, আরিফ হোসেন সাবেক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, এড. মো. হাসান ভিপি নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ, এড আমজাদ হোসেন জি এস নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। এরমধ্যে হাবিবুর রহমান রিয়াদ তোলারাম কলেজের ভিপিও তবে রিয়াদ এই ভিপি পদকে ব্যবহার করে তোলারাম কলেককে ছাত্র রাজনীতির নামে অছাত্র বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সন্ত্রাশীদের অভায়রণ্য গড়ে তুলেন তোলারাম কলেজ ক্যাম্পাশ প্রাঙ্গনে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জুড়েই সন্ত্রাশী কর্মকন্ডের মাধ্যমে মাদক,ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণে ছিল অবাধ নিয়ন্ত্রণ রিয়াদের। 

 

এমনকি বিভিন্ন হত্যাকান্ডের আসামীদের মামলা থেকে শুরু করে শেল্টারেও ছিলেন এই রিয়াদ। কিন্তু এই রিয়াদের মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ একে এম শামীম ওসমানের আদরের দুলাল তার একমাত্র পুত্র একে এম অয়ন ওসমান বিভিন্ন এলাকার ছিচকে সন্ত্রাশী মাদক আসক্তদের ছাত্রলীগের রাজনীতির সুযোগ করে দিয়ে ধীরে ধীরে বিশাল এক ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেন।

 

 কিন্তু  শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর হাবিবুর রহমান রিয়াদ ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনীকে এগিয়ে আসেননি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। অপরদিকে কাউছার হোসেন (ওরফে আহমেদ কাউছার আন্ডার মেট্রিক ছেলে স্কুলের গন্ডিও ঠিকমত পাড় করেনি। অথচ, হাজার হাজার তরুণদের নিয়ে বিশাল বিশাল শোডাউন করে শহরের রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন। 

 

কিন্তু এসকলের পিছনে তাকে আশকারা দিয়েছেন অয়ন ওসমান তার হাত কাউছারের মাথায় পড়তেই টোকাই কাউছার থেকে ছাত্রলীগ ট্যাগ ব্যবহার করে আহমেদ কাউছার হিসেবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। আর এই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা আছে এবং তার পিছনে রয়েছেন অয়ন ওসমান এমনটা বিভিন্ন ব্যবসায়ীক মহলে প্রচার করে ঝুট সেক্টর থেকে শুরু করে বিশাল ব্রডব্যান্ড ব্যবসা এবং নিতাইগঞ্জে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন রয়েছে একাধিক বাড়ি। 

 

এছাড়া কাউছার ছিলেন মূলত শহরের অন্যতম মিনি গার্মেন্টস ও এই সম্পর্কিত ব্যবসার মার্কেট রিভার ভিউ মার্কেট এই বিশাল মার্কেটে একসময় এই কাউছার ঝুট টোকাই করতেন। কিন্তু সেইখান থেকে নানা কলাকৌশলে ব্যবহার করে অয়ন ওসমানের ডেরা পর্যন্ত পৌছে শহরের অন্যতম ছাত্রনেতা হয়ে উঠেন। কিন্তু অছাত্র এবং আন্ডার মেট্রিক হওয়ায় তাকে ছাত্রলীগের পদ পদবীতে ঠাঁই দেয়া হয়নি। 

 

যার কারণে সে ভোল পাল্টে নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে জাহির করতেন। কিন্তু অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে তার ভূমিকা প্রশংশনীয় হওয়ায় অত্যান্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে সে অয়ন ওসমানের একান্ত ঘনিষ্ঠজন হয়ে উঠেন। এমনকি অয়ন ওসমানের ক্যাডারদের মোড়ল হয়ে উঠেন। কিন্তু সেই কাউছারও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর কাউছারও ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেননি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। 

 

আশরাফুল ইসলাম রাফেল সাবেক সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ অয়ন ওসমান কোঠায় তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ছাত্রলীগে ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলার মিশনেরই তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় অয়ন ওসমান। তাছাড়া তার সাংগঠনিক কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর রাফেলও ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেননি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। 

 

হাসনাত রহমান বিন্দু সাবেক সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ যিনি মহানগর ছাত্রলীগের পদে থাকলেও বন্দরে খাঁন মাসুদের মত ওসমানীয় রাজত্ব কায়েম করতে অয়ন ওসমানের নির্দেশনায় বন্দর জোনে ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাশী কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। কিন্তু সেই বিন্দুও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেননি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। 

 

আসাদুজ্জামান আসাদ জি এস তোলারাম কলেজ আসাদ হলেন ভিপি হাবিবুর রহমান রিয়াদের অন্যতম সহায়ক। সেও তোলারাম কলেজে ছাত্রলীগ সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধমূলক বিভিন্ন কান্ডে রিয়াদকে সহযোগী করতেন। এছাড়া অয়ন ওসমানের ক্যাডারদের মধ্যে অন্যতম লিডার হিসেবে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। সেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে আসেননি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। 

 

শাহরিয়ার রহমান বাপ্পি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা সে একসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। সেসময় থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন অপরাধমূলক কান্ড ঘটিয়ে অয়ন ওসমানের আস্থাভাজন হয়ে উঠেন। সেই সাথে অয়ন ওসমানের অত্যান্ত ঘনিষ্ঠজন হয়ে তার বিভিন্ন সফরে হতেন সঙ্গী। কিন্তু হঠাৎ করেই  তাকে অত্যান্ত ঘনিষ্ঠজন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। 

 

তারপরও সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন অপরাধমূলক কান্ড ঘটিয়ে অর্থ উপার্জন পথা ঠিক রাখতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা হিসেবে অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে আসেননি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। অপরদিকে রাজীব সাহা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সে উত্তর চাষাড়াসহ খানপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং প্রতিষ্ঠা করে সন্ত্রাশী কর্মকান্ড করতেন একদা সময়। 

 

এছাড়া তার এসব কান্ডের কারণে অয়ন ওসমানে গুড বুকেও জায়গা করে নেন। কিন্তু ধীরে ধীরে অয়ন ওসমানের ক্যাডার বাহিনীর লিডার থেকে আড়ালে চলে গেলেও অয়ন ওসমানের ক্যাডারদের অন্যতম হয়ে আড়াল থেকে তার কর্মকান্ড পরিচালন করেছেন। সেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে আসেননি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। 

 

হাজী সোহাগ রনি সাবেক সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সে নারায়ণগঞ্জ থেকে অয়ন ওসমানের সিপাহী হয়ে সোনারগাঁয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন। অয়ন ওসমানের আশকারায় বিভিন্ন সন্ত্রাশী কার্যকলাপ করে হত্যার মত ঘটনা করে পার পেয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। এছাড়া নারায়ণগঞ্জেও বিভিন্ন মহলে অয়ন ওসমানের হস্তক্ষেপে জায়গা করে নিয়েছেন সোহাগ। 

 

তবে এখনো অয়ন ওসমানের সিপাহী হয়ে সোনারগাঁ এবং নারায়ণগঞ্জ শহরে ক্যাডার বাহিনীর লিডার হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেননি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ, শুভ রায় সাবেক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা, শওকত হোসেন সুমিত সাবেক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা তারা উভয়ই অয়ন ওসমানের নামে শহরের বিভিন্ন থান কাপড় মার্কেটে চাঁদাবাজী ও ফুটপাতে চাঁদাবাজী করে বেড়াতেন। আর এই চাঁদাবাজীর টাকায় মাদক সেবন করতেন। 

 

এছাড়া দেওভোগ চাষাড়া এলাকায় বিশাল এক সন্ত্রাশী বাহিনী গড়ে তুলে অয়ন ওসমান ও ভিপি রিয়াদের গুড বুকে আসেন। তারপরই ছাত্রলীগে রাজনীতিতে প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়ে সন্ত্রাশী কান্ড পরিচালনা করতে করতে অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে নাম লিখান।  কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেনি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। 

 

বাছেদ প্রধান মেম্বার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ যিনি ফতুল্লা শস্তাপুর কুতুবআইল কাঠেরপুল সন্ত্রাশী কান্ড করে অয়ন ওসমানের গুড বুকে আসেন। এমনকি ধীরে ধীরে সন্ত্রামী কার্যকলাপ করে অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেনি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন।

 

 ফাহাদ বিন জয়নাল সাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদ বিন জয়নাল ছিলেন একজন মাদক আসক্ত মাদক ব্যবসায়ী। এমনকি খানপুর এলাকায় সন্ত্রশী হিসেবেই পরিচিতি ছিল। তবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার সুবাধে অয়ন ওসমানে গুড বুকে আসেন। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে নিজেকে পরিচিতি করে তুলেন। এভাবে দীর্ঘদিন সন্ত্রাশী কার্যকলাপ করে মাদক আসক্তের উচ্চামাত্রায় চলে গিয়ে নিজের পিতা জয়নাল আবেদীন টুলুকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। 

 

পরবর্তীতে অয়ন ওসমান তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিলেও তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পাশে রাখেননি। অয়ন ওসমান তার ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেনি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন।  

 

আরিফ হোসেন সাবেক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সে বন্দরে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতেন। ছাত্রলীগের রাজনীতির সুবাধে অয়ন ওসমানের আস্থাভাজন হওয়াতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কান্ড ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করে বন্দরে লক্ষণখোলা আশে পাশের এলাকায় অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে নিজের নাম লিখান। অয়ন ওসমানের আশকারা পেয়ে অপরাধ অপরাধ করতে করতে নিজের গৃহবধূকে হত্যা করে। কিন্তু অয়ন ওসমানের ক্যাডার হওয়ার তার বিরুদ্ধে আর হত্যা মামলা দেয়া হয়নি।

 

 কিন্তু অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে এলাকায় আড়াল থেকে প্রভাব বিস্তার করলেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেনি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন। এড. মো. হাসান ভিপি নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ, এড আমজাদ হোসেন জি এস নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ তারা উভয়ই অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে আইন কলেজে রাম রাজত্ব চালান। 

 

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ কোর্টে অয়ন ওসমানের ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসেবে প্রভাব বিস্তার করেন। তারা দুজনেই আইন কলেজ এবং কোর্ট এলাকায় অয়ন ওসমানের আস্তাভাজন এডভোকেট এবং ছাত্রলীগ ক্যাডার পরিচিত থাকলেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরের পর অয়ন ওসমানের ক্যাডার হিসেবে ওসমানীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য রক্ষায় তার সন্ত্রাশী বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেনি উল্টো গা ডাকা দিয়েছেন।  

এই বিভাগের আরো খবর