মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১

আজমেরী ওসমান পরিবারের ক্যাশিয়ার ছিলেন চাঁদাবাজ রাজু

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

 

 

 

গত ৫ আগষ্টে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে বেরাচ্ছে। তার মাঝে নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের সদস্য সহ তাদের সম্রাজ্যের সদস্যরা পালিয়ে রয়েছে। ওসমান সম্রাজ্যের অনেকে ইতোমধ্যে হত্যা মামলার হুলিয়া থাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের কাছের অনেকেই এখনো মামলায় আসেন নাই।  

 


এদিকে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার পূর্ব গোপালনগরের হাবিবের ছেলে রাজুর নাম এখনো মামলায় আসে নাই। তিনি পারভীন ওসমানের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। সেই সাথে তাদের বাজার সদাই করে দিতেন। যা রাজু নিজেই জানিয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে আজমেরী ওসমান পরিবারের অনেক গোপন তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাদের কাছের লোক হওয়ায় বক্তাবলী গোপাল নগর এলাকায় জায়গার ব্যবসার নামে মানুষের জায়গা পছন্দ হলে জোর করে দখল করে নিত এই ভুমি দস্যু।

 

 পারভীন ওসমানের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত এই রাজু এলাকায় গড়ে তুলেছিলো এক ত্রাসের রাজত্ব। পারভীন ওসমান আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় বালু ব্যবসা,চাদাবাজী,লুটতরাজ চালিয়ে রাতারাতি বিপুল সম্পদের মালিক বনে যায় এই রাজু। মানুষের জায়গা জোর করে দখল করে রেখে তাদেরকে নামকা ওয়াস্তে অল্প টাকা দিয়ে লিখে নিত। টাকা নিতে না চাইলে ভুক্তভোগিকে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাসানো হবে বলে হুমকি ধমকি দিত।  


এলাকবাসী জানান, অবৈধ ব্যবসা,লুটপাট করে এলাকায় বহুতল ভবনের মালিক হয়েছে এই আজমেরী ওসমানের ক্যাশিয়ার সন্ত্রাসী রাজু। এছাড়াও বসুন্ধরায় ৬ নম্বার সেক্টরের নিরাপদ ব্যালীর ৭ম তলায় রয়েছে তার দুটি ফ্লাট। পূর্বাচলে প্রবাসী পল্লিতে ৫ টি প্লট রয়েছে এই রাজুর নামে। তার তেমন কোন ব্যবসা বানিজ্য নেইঅ অথচ কোটি টাকার সম্পদ ঠিকই আছে। যা নিয়ে রীতিমত অবাক করার মত।


তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে,আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি,জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম,অত্যাচার চালিয়েছে এই রাজু। এমনকি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী দোকানপাট,জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়,এমন কোন জুলুম,অত্যাচার,অবৈধা কাজ বাকি রাখেনি এই রাজু। পারভীন ওসমান ও আওয়ামিলীগের প্রভাব দেখিয়ে চাদাবাজি, লুটপাট ও নানান ধরনের অবৈধ ব্যবসা চালাইতেন তিনি। বিশেষ করে বক্তাবলী ঘাটে ছিল তার বালু, কাশিপুর নরসিংপুর, বক্তাবলী গোপাল নগর এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের জায়গা জমিন জোর করে দখল করে রাখতেন। পরে ভুক্তভোগিকে তা বিক্রি করতে বাধ্য করতেন।


অপরদিকে ৫ আগষ্ট যখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তখন আজমেরী ওসমান সহ তার পুরো পরিবার পালিয়ে যায়। একই সাথে তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার মাঝে তাদের টাকায় পয়সা ব্যাংকে জমা দেয়া ব্যক্তি রাজুও পলাতক রয়েছে।  


রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তাদের পরিবারের হয়ে বিভিন্ন কাজ করে দিতাম। তার মাঝে আমাকে দিয়ে তারা বিভিন্ন সময় ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পাঠাতেন। এছাড়া আমি তাদের বাজার সদাই করে দিতাম। আমি জায়গা ব্যবসার সাথে জরিত থাকায় অনেকের জায়গা হয়ত নিয়েছি। কিন্তু লুটপাট করি নাই।

এই বিভাগের আরো খবর