বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

আজমেরীর নাম ভাঙিয়ে ছাত্র সমাজ নেতা রবিউল আউয়ালের যতো অপকর্ম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৪  

 

 

# ইটভাটা থেকে চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক মানুষের জমি দখল, কিশোরগ্যাং শেল্টারসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্র সমাজের এই সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে

 

নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রবিউল আউয়ালের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের যেনো শেষ নেই। দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে বন্দরের মুসাপুর ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল। ইটভাটা থেকে চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক মানুষের জমি দখল, কিশোরগ্যাং শেল্টারসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে ছাত্র সমাজ নেতা রবিউল আউয়ালের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অনতিবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনা হলেই আজমেরী ওসমানের নির্দেশনায় করা সব অপকর্মের খবর বেরিয়ে আসবে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমেরী ওসমানের প্রভাবে পুরো বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়ন কব্জা করে রেখেছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল। মুসাপুর ইউনিয়নের একাধিক ইটভাটা থেকে চাঁদা উত্তোলন থেকে শুরু করে ভূমিদস্যুতা এবং নিজের লালিত কিশোরগ্যাং সদস্যদের দিয়ে পুরো এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো রবিউল আউয়াল।

 

সূত্রানুযায়ী, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এর পতন তথাপি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগেই নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় ওসমান পরিবারের সকল সদস্য। তবে, এখনো পর্যন্ত নিজ এলাকাতেই অবস্থান করছেন রবিউল আউয়াল।

 

এদিকে, আজমেরী ওসমান পালিয়ে যাওয়ার খবরে ধীরে ধীরে তার অনুসারীরা এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের খবর চাউর হলে মুসাপুর ইউনিয়নস্থ নিজ বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিলেও সম্প্রতি আবারও ফেরত এসেছে সে।

 

অপরদিকে, আজমেরী ওসমান পালিয়ে যাওয়া মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষজন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দল ক্ষমতায় থাকা সময় আজমেরী ওসমানের নামে পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বেড়াতো রবিউল আউয়াল। বিচার সালিশের নামে মুরব্বীদেরকে পর্যন্ত ঘর থেকে তুলে আনতো তার লোকজন দিয়ে। তার মতের অমিল থাকা ব্যক্তিদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নানাভাবে হয়রানি করতো সে। রবিউল আউয়ালের নেতৃত্বে ছিল বিশাল এক কিশোরগ্যাং বাহিনী। যাদের মাধ্যমে পুরো এলাকায় ডন বনে গিয়েছিল সে। এলাকাবাসী বলছেন, মহল্লার অনেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে চাঁদা নিতো রবিউল। যারা এখন ক্ষোভে ফুসছে।

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল যুগের চিন্তাকে বলেন, আমি আজমেরী ওসমানের লোক ঠিকাছে তবে, কোনদিন মানুষের উপর জুলুম করি নাই। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নেই নাই। যারা আমার নামে এসকল অভিযোগ করছে তারা মিথ্যা কথা বলছে।

 

এই বিভাগের আরো খবর