শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

আধিপত্যে কাজলের সহযোগী সোহেল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৪  

বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জে ত্রাস কায়েম করে সর্বমহলে নিয়ন্ত্রণ চালিয়েছে ওসমান পরিবার। আর এই কথা বিভিন্ন সভায় প্রকাশ্যে সুশিল সমাজ বলে বেড়ালেও তেমন কোন কাজের কাজ হয় নাই। তাদের বিশাল বাহিনী ছিল এই শহরে। যার জন্য ভয়ে ওসমান পরিবার কিংবা ওসমান সম্রাজ্য নিয়ে কেউ কথা বলার সাহস পান নাই। বিশেষ করে ব্যবসায়ী সেক্টর এবং গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় ওসমানদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন খালেদ হায়দার খান কাজল। তিনি একক ভাবে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজে দীর্ঘ ১৫ বছর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সকল ধরণের অপকর্ম চালিয়ে ওসমান পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক খালেদ হায়দার খান কাজল। 

 

অথচ এই কাজলকে বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ব্যবসায়ীদের থেকে চাদাঁবাজি করে সাবেক এমপি সেলিম ওসমানকে দানবীর বানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কেননা সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমানের অপকর্মের নীল নকশা নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে বসে তিনিই করতেন। এই রাইফেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদও ওসমানদের আস্থাভাজন খালেদ হায়দার খাঁন কাজল দখল করে রাখায় এখান ভালো শুটার তৈরী হওয়ার চেয়ে ছাত্রলীগের গুন্ডাদের প্রশিক্ষণের আখড়া হয়েছে।

 

এদিকে সম্প্রতি ৫ আগষ্টে সরকার পতন হওয়ার পরেও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম , তিনি সম্প্রতি এক সভায় বলেন, আমাদের রাইফেল ক্লাবে শামীম ওসমান অস্রের ব্যবহারের প্রশিক্ষন দিয়েছে। রাইফেল ক্লাবকে আমরা সন্ত্রাসী মুক্ত চাই। আমরা চাই আমাদের সন্তানরাও সুটিং শিখুক। এই খালেদ হায়দার খান কাজল ওসমান পরিবারের অর্থের উৎস নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই কাজল যোগসাজোস করে শামীম ওসমানের রাজত্বকে পাকাপোক্ত করেছে। সুধু সেটাই নয় কাজল অবৈধ ভাবে রাজউকের সাথে যোগসাজশ করে এই ট্যাক্সি স্ট্যান্ড সরিয়ে দিয়ে রাতারাতি দখল করেছে।

 

অপরদিকে এবার কাজলকে নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। সদ্য ২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের এজিএমে এই ব্যসায়ী সংগঠনের সাবেক সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ক্ষোভ ঝারেন ব্যবসায়ী মহল। একাধিক্য ব্যবসায়ী জানান, খালেদ হায়দার খান কাজলের হয়ে কোন ব্যবসায়ী থেকে কত টাকা চাদাঁ নেওয়া হবে তা নির্ধারণ করতেন ওসমান পরিবারের আরেক দোসর মোশের্দ সারোয়ার সোহেল। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরকে ডেনে কাজলের দরবারে হাজির করতেন। আর কাজল সেলিম ওসমানের নাম বলে তাদের থেকে চাদাঁ নিতেন। 

 

আর কেউ যদি তাদের করে দেয়া চাদাঁর হারের টাকা দিতে গরিমসি করতেন তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করা হত। এমনকি ফ্যাক্টরীতে শ্রমিক দিয়ে অসন্তোষ তৈরী করা হত। মোশের্দ সারোয়্রা  সোহেল একনো নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কামর্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। তদাছাড়া তিনি  আওয়ামী লীগের সময়েও দাপটের সাথে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ব্যবসায়ী সংগঠনে নেতৃত্ব চালিয়েছে। ওসমান পরিবারের নীল নকশা তৈরী করেছে এই সোহেল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া এজিএমে তাকে নিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ ঝাড়েন।

 

ব্যবসায়ী আব্দুল হাই রাজু বলেন, আমাদেরকে মামলা দিয়ে দীর্ঘ দিন বাড়ি ছাড়া করে রেখেছে। বিশেষ করে ওসমান পরিবার ও তাদের প্রেতাত্মারা মিলে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সকে জিম্মি করে রেখেছে। ব্যবসায়ীদের মনের কথা প্রকাশ করার সুযোগ দেন নাই। আমরা চাই ব্যবসাীয়রা যেন তাদের ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দ মত নেত্ ানির্বাচন করতে পারে।

 

ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, আমরা অনেকেই চেম্বারের সদস্য নবায়ন করতে পারি নাই। তারা অন্ধকার রুমের ভিতরে কমিটি গঠন করেছে। তাছাড়া চেম্বার অব কমার্সকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যাদের গার্মেনটস নাই তার সদস্য করে অর্থ লুটপাট করেছে।  

এই বিভাগের আরো খবর