মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১

ইসদাইরের ভাইরাস সিদ্দিক

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

 

 

ফতুল্লার ইসদাইরে রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ইসদাইর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। ওসমান পরিবার, শাহনিজামের  সাথে ছিল ঘনিষ্টতা। ব স্কুল সভাপতির পদ ব্যবহার করে কৌশলে ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ হয়ে এ এলাকায় সৃষ্টি করেছেন তার ত্রাসের রাজত্ব। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পর্যন্ত পাননি। সূত্র জানিয়েছে, এই সিদ্দিকুর রহমানের পরিবার মুন্সিগঞ্জ থেকে  নারায়ণগঞ্জ আসে। সিদ্দিকুর রহমান শুরু থেকেই খুব ধুর্ত প্রকৃতির লোক ছিলেন। 

 

তিনি প্রথমে স্থানীয় মিছির আলী মেম্বার ও কাশেম ওরফে সমবায় কাশেম নামের দুই ব্যাক্তির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন। এ দুজনই আবার এই স্কুলের সভাপতি হওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলো। আর তারা সভাপতি হওয়ার জন্য সিদ্দিকুর রহমানকে কাছে টানেন কারণ সিদ্দিকুর ছিলেন তখন স্কুলের অভিবাবক সদস্য। তাকে ব্যবহার করে অন্য অভিবাবক সদস্যদের প্রভাবিত করা যাবে এ আশায় দুজনেই সিদ্দিকুরের মুখোপেক্ষী ছিলেন। কিন্তু সিদ্দিকুর দুজনের সাথেই সমানতালে  সম্পর্ক বজায় রেখে স্বার্থ হাসিল করতে শুরু করে।


যদিও পরবর্তীতে মিছির আলী মেম্বার ও সমবায় কাশেম তার এ চালাকী ধরতে পেরে তাকে দূরে সরিয়ে দেয়। তখন এই সিদ্দিক পরিবহন নেতা ঈব্রাহীম চেঙ্গিস এর কাছে ভিড়ে তাকে সভাপতি বানাতে সহায়তা করে। তবে নানা নিয়মনীতির মারপ্যাচে ঈব্রাহীম চেঙ্গিস সভাপতি পদ পরিচালনায় ব্যার্থ হলে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তখন সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি বনে যান।
সভাপতি হওয়ার পর থেকেই তিনি ওসমান পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্প

র্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। স্কুলের বিভিন্ন স্থাপনায় ওসমান পরিবারের নামে করতে শুরু করে ওসমানদের সু-নজরে আসেন তিনি। আওয়ামীলীগের মিছিল,মিটিং এ সক্রিয় উপস্থিতি ছিলো তার।
তারপর এলাকায় গড়ে তুলেন ত্রাসের রাজত্ব। মাদক ব্যাবসায় সংশ্লিষ্টতা, ভূমিদস্যুতা, কিশোরগ্যাং এর শেল্টারদাতাসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতো এলাকায়। কেউ তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে এলাকার বহিরাগত  ১০০ থেকে ১৫০ জন বস্তির মানুষদের দিয়ে গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের হয়রানি করতো। 

 

ফলে তার অপকর্মের ভয়ে এলাকার সুশিলরা প্রতিবাদ করতো না সম্মান হারানোর ভয়ে। তার নেতিবাচক কর্মকান্ড শুধু এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না বরং স্কুলের অভ্যন্তরে নানা স্বেচ্ছাছারিতার অভিযোগ ছিলো। সবসময় তার ভয়ে থাকতো শিক্ষকরা। অভিযোগ ছিলো মাসের পর মাস শিক্ষকদের বেতন দেওয়াও হতো না। স্কুলে তার প্রভাব ও হস্তক্ষেপ কমাতে ইতিমধ্যে ঐ স্কুলের ছাত্ররা আন্দোলন পর্যন্ত করেছে।


স্কুলের সুনাম একেবারে তলায় গিয়ে ঠেকে তার সময়। অথচ স্কুল সভাপতি হওয়ার কোনো যোগ্যতাই ছিলো না তার এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা। তিনি প্রাইমারির গন্ডিও পেরুতে পারেননি এমনটাই বলছে তারা। তবে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দিলেও তার প্রভাব কমেনি এতটুকুও। স্থানীয়রা বলছে এই সিদ্দিকুরের নেতিবাচক কর্মকান্ডের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে তা ইসদাইরবাসীর জন্য অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসবে, সেই ইসদাইরাবাসীর জন্য ভাইরাস।

এই বিভাগের আরো খবর