বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে নগরীতে মিছিল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৪  


ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ‘আরবি লেখা কালো-সাদা পতাকা’ হাতে মিছিল করেছে একদল কিশোর ও তরুণ। মিছিলকারীদের শরীর ও কপালেও ‘লা ই লাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখা কাপড় বাঁধা ছিল।

 


গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের চাঁদমারী এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। ‘ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যান্ড স্টুডেন্টস কমিউনিটি অব নারায়ণগঞ্জ’ এর ব্যানারে ইউনিফর্ম পরা কয়েকটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই মিছিলে অংশ নেয়।

 


ইংরেজি শব্দে লেখা ওই ব্যানারে উল্লেখ করা হয় ‘লেবানন ও পবিত্র ভূমি প্যালেস্টাইনে গণহত্যা ও (ইসলামের) মহানবী হযরত মুহাম্মদকে অপমানের গণপ্রতিবাদ সমাবেশ’।

 


মিছিলটি পরে শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ঘুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল কয়েকটি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের বহরও দেখা যায়। ওই যানবাহনগুলোতে কালো-সাদা পতাকা বাঁধা ছিল। মিছিলে তারা ‘মুক্তির একপথ, খিলাফত খিলাফত’, ‘খেলাফতের দাবিতে, নামতে হবে রাজপথে’, ‘বিশ্বনবীর ইজ্জত, রক্ষা করবে খেলাফত’ স্লোগান দেন।

 


এছাড়াও, ‘তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘তেরা মেরা রিশতা কেয়া, লা ই লাহা ইল্লাহ’, ‘আমেরিকা ও ভারতের কালো হাত ভেঙে দেও, গুড়িয়ে দেও’, ‘বিশ্বনবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’ ইত্যাদি স্লোগান দেন মিছিলকারীরা। প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কের একপাশে জমায়েত হয়ে দু’জন তরুণ সেখানে বক্তব্য দেন। তবে, তারা কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।

 


বক্তব্যে তারা বলেন, ‘ইসরায়েল গাজার মুসলমানদের উপর অকথ্য নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা গত এক বছর প্রায় ৪৫ হাজারের মতো মুসলিম মা, ভাই-বোন ও শিশুদের হত্যা করেছে। অথচ আন্তর্জাতিক মহল থেকে কোনো সমাধান বা প্রতিক্রিয়া দেখছি না। আসলে এই আন্তর্জাতিক মহল হচ্ছে আমেরিকা, ব্রিটেন মদদপুষ্ট, যারা মূলত এই হত্যাঙজ্ঞের সাথে জড়িত।

 


গত কয়েকদিন আগে ভারতে রাসুলুল্লাহকে (সা.) কটুক্তি করা হয়েছে। কতটা দুঃসাহস তাদের। প্রিয় ভাইয়েরা, আজকে আমাদের মুসলমানের জান ও আকিদা দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। এর একমাত্র সমাধান ইসলামিক শাসনব্যবস্থা তথা নবুয়ত আদলে খিলাফত ব্যবস্থা। একমাত্র খিলাফত ব্যবস্থা ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল থেকে আমাদের প্রথম কেবলা আল-আকসা ও ফিলিস্তিনকে মুক্ত করবে।

 

 

এবং খিলাফত রাষ্ট্র রসুল অপমানের উপযোগ্য জবাব দেবে ইনশাল্লাহ। তাই আমাদের আহ্বান মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রতি এবং সকল শ্রেণির মুসলিমদের প্রতি, তারা যেন খিলাফত প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে।’

 


এই সময় তারা ‘সেনাবাহিনী প্রেরণ করো, পবিত্র ভূমি রক্ষা করো’ স্লোগান দেন।

 


মিছিলে থাকা ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দু’জন শিক্ষার্থী বলেন, তারা সমাবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। হযরত মুহাম্মদকে কটুক্তির প্রতিবাদে মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয়। ওই সূত্রেই তারা এসেছেন।

 


যোগাযোগ করা হলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রদের ব্যানারে কিছু কিশোর-তরুণ শহরে মিছিল করেছে। তাদের হাতে আরবিতে লেখা সাদা-কালো পতাকাও ছিল।

 

 

আমরা থানা থেকে টিম পাঠিয়েছিলাম কিন্তু যানজটের কারণে সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি, তারা লেবানন ও ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে মিছিল করেছে। তবে কারা এর অর্গানাইজার সেই বিষয়ে এখনও তথ্য পাইনি। পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা এই বিষয়ে খোঁজখবর করছে।’      এন. হুসেইন রনী  /জেসি