রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১

ঈদে পাঞ্জাবী’র উপর আমার আলাদা একটি দূর্বলতা আছে : কামাল মৃধা

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৮   আপডেট: ১৪ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কামাল মৃধা। সময় পেলে ছেলে মেয়েদের জন্য রান্না করার অভ্যাস আছে তাঁর। এবার ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদরাতে এবারো কিছু রান্নাবান্না করার ইচ্ছা আছে বলে জানান তিনি। যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডায় ঈদুল ফিতর উদযাপনের বিষয়ে কামাল মৃধা জানান, ঈদের দিন সকালে মাসদাইর ঈদগাহে নামায আদায় করতে যাবো।

 

ওখান থেকে গণভবনে যাবো প্রধানমন্ত্রীর সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য। এটা আমাদের দলের একটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচী। ওখান থেকে ফিরে এসে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হবো। ঈদে আমার প্রিয় খাবার খিচুড়ী। তবে মজার বিষয় হচ্ছে খিচুড়ীটা কিন্তু রান্না করি আমি নিজে। আসলে ছেলেমেয়েদের জন্য সময় পেলেই আমি রান্না করি। ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদরাতে এবারো কিছু রান্নাবান্না করার ইচ্ছা আছে। ছোটবেলায় ঈদী নেয়ার চর্চাটা খুব বেশি ছিলো না জানিয়ে কামাল মৃধা বলেন, ক্লাস নাইনে পড়া অবস্থায় আমি সাইন্স ক্লাব করতাম। খেলাঘর করতাম। কলেজে উঠেই রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছি।

 

বাচ্চাদের জন্য ঈদ সবসময়ই আনন্দের। নতুন কাপড় লুকিয়ে রাখতাম। কেউ দেখে ফেললে পুরোনো হয়ে যাবে। ঈদে পাঞ্জাবীর প্রতি একটি দূর্বলতা আছে। আর তা থেকেই ঈদের জন্য কেনাকাটা বলতে এবারো একটি পাঞ্জাবী কিনেছি। আগের ঈদ আর এখনকার ঈদ উদযাপনে অনেক তফাৎ উল্লেখ করে কামাল মৃধা জানান, ঈদে আগে আনন্দ পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন মানুষের আনন্দের জায়গায় স্বার্থের বিষয়গুলো চলে এসেছে অনেক। আমরা স্বার্থের জন্য অনুদান দেই। আবার ছবি তুলে তা পত্রিকায় ছাপানোর জন্য দেই। আমার মনে হয় কাউকে সহযোগীতা করলে তা অত্যন্ত গোপনে করা উচিৎ। আমি সেভাবে করতেই পছন্দ করি। ফুটবল বিশ্বকাপে বরাবরই আর্জেন্টিনার সমর্থক বলে জানান কামাল মৃধা। তিনি বলেন, তবে এবার একটু সমস্যায় পড়ে গিয়েছি। আমার দুই রাজকুমারী ব্রাজিলের সমর্থক।

 

মেয়েদের কথা চিন্তা করেই এবার আমাকে ব্রাজিলের সমর্থন করতে হবে। নয়তো মেয়েরা আমাকে চা, কফি কিছুই বানিয়ে খাওয়াবে না। আমার স্ত্রীও ব্রাজিল সমর্থক। তাই সংসারে অশান্তি করতে রাজী নই আমি। ঈদের পর রাজনৈতিক পরিকল্পনার বিষয়ে কামাল মৃধা বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা অনেক কম। কেননা জেলা ও মহানগর রাজনীতি নয় আমি তো কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি যে কাজটি করতেছিলাম অর্থাৎ গণসংযোগ। এটার মাঝেই ফিরে যাবো। আমার ইচ্ছে ছিলো একটি বড় জনসমাবেশ আয়োজনের সেটির দিকেই মনোযোগী হবো। রমজানে কাজের একটু ছন্দপতন হয়েছে।ওটাই আবার নতুন করে শুরু করবার চেষ্টা করবো।

 

ঈদের মজার স্মৃতিচারণ করে কামাল মৃধা জানান, স্বাধীনতার পর পরই ক্লাস সিক্সে পড়া অবস্থায় একবার ঈদে আমার এক চাচাতো ভাই ৫ টাকা ঈদী দিয়েছিলো। পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে পত্রিকার স্টলের কাছে গিয়ে দেখলাম পত্রিকায় লেখা ‘আজ গণভবনের দ্বার উন্মুক্ত থাকবে।’ তখন আমি কথাটা জানার চেষ্টা করলাম। একজন বুঝালো যে কেউ ঐদিন দেখা করার জন্য গণভবনে যেতে পারবে। তখন গাড়ি ভাড়া ছিলো বোধ হয় ১০ আনা। গালিতে গুলিস্তান গিয়ে হাঁটতে হাঁটতে খেলাঘরের ছেলেমেয়েদের সাথে গণভবনে গিয়ে সকল জাতীয় নেতাদের দেখেছিলাম। ঈদুল ফিতরে আমার সহকর্মী, রাজনৈতিক বন্ধু ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার জনগণসহ সকলের প্রতি আমার ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা।

এই বিভাগের আরো খবর