বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

ঈদে মায়ের হাতের রান্না করা খিচুড়ী আমার খুব পছন্দ : পলাশ

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০১৮   আপডেট: ২১ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ। ঈদ সবসময়ই একটি আনন্দের বিষয় বলে মনে করেন তিনি। রোযার কারণে রমজান মাস শেষে ঈদুল ফিতরের গুরুত্বটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। রমজানে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মানুষ রোযা রেখে গুণাহ মাফ করার জন্য ইবাদত করেন।

 

কিন্তু ঈদের আগের দিন অনেকেই মুসলমানের মূল্যবোধটাকে একটু অন্যরকম বানিয়ে ফেলি। কিন্তু সেটা ঠিক নয় বলে জানান জনপ্রিয় এ নেতা। ঈদ উপলক্ষে নতুন কাপড় কেনাকাটা, ভালো খাবারের আয়োজন ও আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাওয়ার একটি দারুণ পরিবেশ তৈরী হয় বলে জানান কাউসার আহমেদ পলাশ। যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডায় ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে কাউসার আহমেদ পলাশ জানান, ঈদের দিন ফজরের নামায পড়ে আর ঘুমাই না। একবারে ঈদের নামায আদায় শেষে বাবার কবর জিয়ারত করি। বাসায় ফিরে মাকে সালাম করে। এরপর বাসায় মিষ্টি, সেমাই খাই। তবে আমার পছন্দের খিচুড়ি। আমার মায়ের হাতে খাঁটি ঘি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে।

 

এরপর অবশ্য হাল্কা বিশ্রাম নেই। দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মী, আত্মীয়-স্বজনদের সময় দেই। সুযোগ হলে সন্ধ্যার পর নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। গতবার ঈদে আমার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম। ঈদের সালামী বা ঈদী নেয়া প্রসঙ্গে কাউসার আহমেদ পলাশ জানান, ঈদের নতুন কাপড় চোপড় পড়ে বাবা-মাকে সালাম করলে ঈদী পেতাম। এছাড়ায যখন আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যেতাম। তখনও ঈদ সালামী বা ঈদী পেতাম। ঈদের সালামী নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো কে কতো ঈদী পেলাম। বয়স অনুযায়ী তখন আমাদের কাজ ছিলো কোন আত্মীয়ের বাসায় গেলে ঈদী বেশি পাবো। আর কোথায় সালামী পাওয়া যায় না সে বাসাগুলো এড়িয়ে যাওয়া। সেগুলো আবার জমিয়ে রাখা ছিলো আমাদের কাজ।। ঈদী পাওয়াটা তখন বিশেষ কিছু ছিলো। এখন আমরা বড় হয়ে গেছি।

 

আমরা যেভাবে সালামী নিয়েছি এখন ছোটদের সালামী দেয়াটাও আমাদের উপর বর্তায়। ফুটবল বিশ্বকাপে কাউসার আহমেদ পলাশ আর্জেন্টিনার সমর্থক। তিনি জানান, আমার স্ত্রী মৌনভাবে ব্রাজিলের সমর্থন করে। আমাদের বাসায় বেশিরভাগ আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমার ছোটভাই ব্রাজিলের সমর্থক। আমার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় ক্যামেরুনের সমর্থক ছিলেন। তখন অবশ্য প্রিয় দলকে সমর্থন করা নিয়ে, পতাকা ওড়ানো নিয়ে বাসায় অনেক হৈ চৈ হতো। পরিবার ছাড়া ঈদ উদযাপনের স্মৃতিচারণ করে কাউসার আহমেদ পলাশ জানান, পরিবার ছাড়া ৩টি ঈদ আমি কাটিয়েছি। ১৯৯৭ সালে প্রাইম টেক্সটাইল শ্রমিক আন্দোলন করতে গিয়ে জেলখানায় ঈদ করতে হয়েছে।

 

২০০২ সালে দুটি ঈদ আমাকে জেলে করতে হয়েছে। জেলখানায় আসলে সালামীর কোন বিষয়ও নেই, মায়ের হাতের রান্নার খিচুড়িও নেই। পরিবার ছাড়া ঈদের আসলে কোন তৃপ্তি নেই। একবার অবশ্য জেলখানায় মায়ের হাতের রান্না করা খাবার খেতে পেরেছিলাম। আগের ঈদ আর এখনকার ঈদ উদযাপনে অনেক তফাৎ জানিয়ে কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, ছোটবেলায় ঈদ উদযাপনে সীমাবদ্ধতা ছিলো। এখন নিজে উপার্জন করার পরেও ওই সময়ের যে আনন্দ, তৃপ্তি এটা এখন পাই না। ছোটবেলার ঈদের মতো আনন্দ আসলে এখন হয় না। ঈদের আনন্দে নেতাকর্মী শুভাকাঙ্খী সকলের উদ্দেশ্যে অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, আমাদের জীবনকে যদি রমজানে নেয়া শিক্ষার মতো করে গড়তে পারি তাহলে হাশর হবে আমাদের ঈদ আনন্দের মতো। সবাইকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা।

এই বিভাগের আরো খবর