উৎসব-প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ‘বড়দিন’ উদযাপন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৩ পিএম
সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও আনন্দোৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। বড়দিন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে।
রোববার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা-হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার। গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা মেতে ওঠেছেন নানা উৎসবে। দিনটির উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুনর্জন্ম, নব সূচনা, ক্ষমা ও শান্তির চেতনা।
২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন শুরু হয়। বড়দিনকে ঘিরে সকাল থেকে শহরের সাধু পৌলের গীর্জা ও ও কালীরবাজার এলাকায় নারায়ণগঞ্জ ব্যাপ্টিস্ট চার্চে আয়োজন করা হয় সমবেত প্রার্থনা।
এ উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মালম্বী নর-নারীরা সমবেত প্রার্থনায় মিলিত হয়ে আগামী দিনের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন। প্রার্থনায় আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সুখ শান্তির প্রত্যাশা করে সকলে। এসময় খ্রিস্ট ভক্তরা যিশুর পথ নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে একসাথে সুন্দরভাবে বাংলাদেশে বসবাসের আহ্বান জানান।
পরে কেক কাটার মাধ্যমে দিনের শুভ সূচনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলের মঙ্গল কামনা করে চন্দন শীল বলেন, আমি সবাইকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আপনারা সবাই মিলে মিলে আজকের এই দিনটি উদযাপন করবেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, জেলা খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেশন, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দেসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।