রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে জনপ্রতিনিধিদের অসহায়ত্ব

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

 

# আমরা চাচ্ছি নিয়ন্ত্রণ করতে, একটি পক্ষ শেল্টার দিচ্ছে তাই পারছিনা : সাইফুল্লাহ বাদল
# প্রশাসনিক এবং সামাজিক জোরালো তৎপরতাই পারে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে : শওকত আলী
# এই সমস্যাটা আমাদের আয়ত্বের বাইরে চলে গেছে : আসাদুজ্জামান
# নিয়ন্ত্রণে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নাই : ফতুল্লা ওসি

কিশোর গ্যাং বর্তমানে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে আতঙ্কে থাকে এলাকাবাসী। কিশোরগ্যাং সদস্যদের  অতি উগ্র আচরণ এর কারণে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে থাকে এলাকাবাসী।  সামনেই জাতীয় নির্বাচন। এ সময় কিশোর গ্যাংদের মহড়া আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

 

 

তবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ভ‚মিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এলাকাবাসী।  তারা বলছে এলাকার জনপ্রতিনিধি কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এক্ষেত্রে তারা যেনো অসহায়।

 


কিশোরগ্যাং এর সবচেয়ে বেশি উৎপাত পরিলক্ষিত হয় ফতুল্লা অঞ্চলে।  কিশোর গ্যাং ও এ সমস্যার নিয়ন্ত্রণ এ জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনাকালে  ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ বাদল জানান, কিশোর গ্যাং অনেক বড় একটি সমস্যা।

 

 

আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  কিন্তু আমরা চাচ্ছি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে আরেকটা পক্ষ আছে যারা এটাকে সেল্টার দিচ্ছে। এর ফলে কিশোরগ্যাং পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।  এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা হচ্ছে।

 


এই বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, কিশোর গ্যাং সমস্যাটা বর্তমানে জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে।  প্রশাসনিক এবং সামাজিক জোরাালো তৎপরতাই পারে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে।  কিশোর গ্যাং প্রশ্নে আমরা আপোষহীন।

 

 

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সাথে আমাদের বিভিন্ন সময় মিটিং হয়। এ সমস্যাটা নিয়ে কথা হয় ফতুল্লা থানার বর্তমান ওসি খুবই আন্তরিক। প্রত্যাশা করছি সমস্যা পুরোপুরি শেষ না হলেও একেবারেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।  এর জন্য দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

 


এই বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়াামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, মাসদাইরে কিশোর গ্যাং এর দ্বারা যে হামলার সৃষ্টি হয়েছে তা অনাকাঙ্খিত। হামলার পরে আমি নিজে সেখানে গিয়েছিলাম। আমার ওয়ার্ড মেম্বার, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর নেতা সহ অন্যান্য নেতারাদের নিয়ে বসেছিলাম।

 

 

সবার সাথে কথা বলেছি। এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমরা সচেষ্ট আছি। এরকম পরিস্থিতি যেন আর না হয় এজন্য ফতুল্লা থানা ওসির সাথেও কথা হয়েছে আমার। তিনি এই বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। বলেছে এসব বিষয় তথ্য দিতে কারা এগুলো করছে। তিনি দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নিবেন।  তবে এই সমস্যাটা আমাদের আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে।

 


অর্থাৎ এখানে স্পষ্ট প্রমাণিত যে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে জনপ্রতিনিধিরাও অসহায়  স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অতি দ্রুত কিশোর গ্যাং নামক  আতঙ্ক থেকে ম্ক্তু করা হোক। নিরাপদ জীবনধারণের সুযোগ করে দেয়া হোক। যেনো সবাই নিশ্চিন্তে শান্তিতে বসবাস করতে পারে ।

 


সাম্প্রতিক সময়ে ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলের কিশোর গ্যাং সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কোন উদ্যোগ কিংবা পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফতুল্লা থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, না, আমাদের কোন পরিকল্পনা নেই আপাতত।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর