কুকর্মে কুখ্যাতি ছিল মাসুমের
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
সোনারগাঁয়ের সাদেক মৌলভীর নাতি পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সি.সহ-সভাপতি ইঞ্জি মাসুদুর রহমান মাসুম। ইঞ্জি খেতাব নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও ছিলেন অত্যান্ত দূরন্ত ও চতুর প্রকৃতির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যার কারণে রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে নানা অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত থেকে রাতারাতি অর্থনৈতিক ভাবে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেলেও ছিলেন সকলের ধারণার বাহিরে।
কিন্তু নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকার অভিযোগ বিভিন্ন সময় আসলেও হঠাৎ করে একজন নারীর সাথে অশালীন মন্তব্যের অডিও কল রেকর্ড মুহুর্তে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও তার পক্ষ থেকে বার্তা ছিল এটা এডিটিং এর মাধ্যমে তার ভয়েস বিকৃতি করে তাকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করার জন্য ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু তার অবিকল ভয়েস কল রেকর্ড সম্পর্কে নানা প্রকাশে অনিচ্ছুক পিরোজপুর ইউপি বাসিন্দা ওসোনারগাঁয়ের একাধিক আওয়ামীলীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, এভাবে মাসুমের অবিকল ভয়েস রেকর্ড এডিটিং করে তার সম্মানহানী করা কারো প্রয়োজন নেই বলে মনে করি। এডিটিং হলে অবিকল ভয়েস আসে কিভাবে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হওয়ার কথা বা সোনারগাঁয়ের আঞ্চলিক ভঙ্গিতে ভাষা প্রয়োগ এগুলো সম্ভব ছিল না।
সূত্র বলছে, ২০২৩ সালের দিকে হঠাৎ করে পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সি.সহ-সভাপতি ইঞ্জি মাসুদুর রহমান মাসুম এবং পৃথম পৃথক দুটি মেয়ের সাথের ফোন আলাপ ফাঁস হয়। সেখানে ইঞ্জি মাসুমের ভয়েসে অশালীন বাক্যের কথোপকথন হয় এই দুটি মেয়ের সাথে। ফোন আলাপ ফাঁস হওয়া পৃথক দুটি মেয়েকেই ইঞ্জি মাসুমের ভয়েসে অশালীন বাক্যের মাধ্যমে অন্তরঙ্গ বিভিন্ন আলাপ করতে শোনা যায়।
তাছাড়া ফোনআলাপে পৃথক পৃথক দুটি মেয়েকেই তাদের কথার বর্ণনায় বুঝা গিয়েছে মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী। এছাড়া মাসুমের ভয়েস এবং পৃথক দুটির মেয়ের ভয়েসে পিরোজপুর ইউপির ঝাউচর এলাকার সাদিয়া নামের এক মেয়ে এবং সজল নামের এক ছেলের কথা বরাবর উঠে আসে এবং তাদের চিনেন তাদের সম্পর্কে জানেন এমন বাক্য উচ্চারিত হয়। তবে এই ফোন আলাপ মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইঞ্জি মাসুমের বরাতে বিভিন্ন অনলাইন প্রিন্ট মিডিয়ায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় তাকে রাজনীতি সম্মানহানী হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই ধরণের কাল্পনিক অডিও সামাজিক মাধ্যমে একটি কুচক্রি মহল প্রচার করছেন।
তবে এই অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার সোনারগাঁয়ের তোলাপাড় শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এই অডিও কল রেকর্ড মুহুর্তে যেমন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তেমনিই মুহুর্তেই সামাজিক মাধ্যমে উধাও হয়ে যায়। সূত্র আরও নিশ্চিত করে, ইঞ্জি মাসুম তার এসকল অপকর্ম ফাঁসকারা ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা বা তার তাকে দমানোর জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পিরোজপুর ইউপিতে নারী সংগঠিত সালিশে ব্যস্ত সময় পার করতেন মাসুম। সালিশে নারী পক্ষের পক্ষ টেনে অপজিশন পক্ষকে তাদের উপর তার সন্ত্রাসী বহিনীর লেলিয়ে দেয়ার হুমকি দিতেন। এতে প্রতিয়মান হয় যে, মাসুম অপকর্মের মাধ্যমে অর্থের প্রতি আসক্ত থাকলেও সে নারীদের প্রতি আসক্ত ছিলেন।