শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

কেওঢালা-অলিপুরা রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বন্দরের কেওঢালা থেকে সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নস্থ অলিপুরা বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।  ১ বছর আগে রাস্তাটির সংস্কার হলেও বর্তমানে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে পড়েছে। 

রাস্তার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ১ ফুটের উপর গর্ত হয়ে ও খানাখন্দ সৃৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণের চলাচল ব্যহত হওয়া ছাড়াও গণপরিবহণ বিকল ও দূর্ঘটনার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে অত্র অঞ্চলের মানুষ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে অত্র রাস্তা দিয়ে সর্বদা চলাচল করতে হচ্ছে। 

স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী স্কুল ও কলেজে গমন করে এবং প্রায় বিশ হাজার শ্রমিক আদমজী ইপিজেড, ওপেক্স সিনহা গার্মেন্টস, কাঁচপুর বিসিক, রহিম স্টিল, বন্দর স্টিল, পারটেক্স, সুরুজ মিয়া গ্রুপ, জামালউদ্দিন টেক্সটাইল, অলিম্পিক ইন্ডাঃ, বেঙ্গল, গাজীপুর পেপার মিলস, এসকিউ কেবলস, চৈতি গার্মেন্টস সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শ্রমের জন্য যায়। 

সোনারগাঁয়ের বারদীতে অবস্থিত লোকনাথ বক্ষ্মচারীর আশ্রমে আগত হাজার হাজার ভক্তকূল আশ্রমে পৌছানোর জন্য এ রাস্তাটকেই সহজ বলে বেছে নেয়। শাখা রাস্তা হওয়ায় এ এলাকার যোগাযোগের একমাত্র বাহন হচ্ছে রিক্সা, অটো রিক্সা ও সিএনজি।

সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তার অনেকগুলো জায়গায় পানি জমে যানজট সৃষ্টি সহ যানবাহন বিকল হয়ে যায় এবং রাস্তাটি আরও ভেঙ্গে যায়। নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে রাস্তার সংস্কার এবং অত্র অঞ্চলে ১০ এর অধিক ইটভাটায় চলাচলকারী ভারী যান এ রাস্তাটির ক্ষতির অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করেন স্থানীয়রা। 

শ্রীরামপুর, কাজীপাড়া ও কাজহরদী এলাকার কিছু অসাধূ জমির মালিক ও কিছু দালাল চক্রের কারণে অত্র অঞ্চলের ফসলী জমির মাটি হরহামেশাই ইট ভাটায় বিক্রি হচ্ছে, আর এই মাটি দিয়েই বানানো হচ্ছে ইট।

মাটি ইট ভাটায় পরিবহনে ব্যবহৃত মোটা চাকার ট্রাক্টর, ইট ভাটায় কয়লা আনতে ২০-৩০ টনের ট্রাক ও ইট বিক্রিতে ব্যবহৃত ঘাতক ট্রাকের আঘাতে রাস্তা ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয়রা নিয়মিত ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এতে কেউ কর্ণপাত করছেনা এবং সমস্যা সমাধানে কোন জনপ্রতিনিধি কোন কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছেনা। 

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ও প্রাক্তন সমাজকল্যান মন্ত্রী ব্যরিস্টার রাবিয়া ভূঁইয়া এ রাস্তা দিয়ে সোনারগাঁয়ে এসেছিলেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দের ছোঁয়া থাকা সত্বেও এ রাস্তাটি এভাবে দীর্ঘদিন  প্রশস্ত ও মজবুতভাবে নির্মাণ না হওয়ায় হতবাক সবাই। 
এই রাস্তাটি নতুন ভাবে নির্মাণ ও প্রশস্ত করা হলে সোনারগাঁয়ের সাদিপুর, সনমান্দি, বারদী ও বন্দরের ধামগড়, মদনপুর ইউনিয়নের মানুষের জন্য যোগাযোগে এক নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে বিশ্বাস করে এলাকাবাসী। 

জনগনের ভোগান্তি লাঘবে ও নিত্যদিনের এ দৈন্যদশা ধেকে পরিত্রানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অত্র অঞ্চলের সকল সচেতন মানুষ সহ সুশিল সমাজ।   
 

এই বিভাগের আরো খবর