বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

খানা খন্দে তীব্র ভোগান্তি চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২৩  

 

নারায়ণগঞ্জের অন্যতম ব্যস্ততম এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে চাষাড়া পঞ্চবটি সড়ক। এক সময় এই সড়ক দিয়েই নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় চলাচল করা হতো। তবে বর্তমানে ঢাকায় যাওয়ার জন্য লিংক রোড ব্যবহার করলেও পুরাতন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের গুরুত্ব কমেনি এতোটুকুও। প্রতিদিন হাজার হাজার ইজি বাইক, সিএনজি, ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের কাভার্ড ভ্যান, যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে এ রোডে।

 

নারায়ণগঞ্জ তথা সারা বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্যিক অঞ্চল হচ্ছে বিসিক শিল্প নগরী। এই বিসিক শিল্পনগরীর পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে এই রাস্তা ধরেই। তবে দুঃখজনক বিষয় এই যে এই রাস্তার গুরুত্ব যতটুকু ঠিক ততটুকুই যেন অবহেলিত এই রাস্তাটি। ভোগান্তির শুরু সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকেই। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, চাষাঢ়া রেল লাইনের দু'পাশেই বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে গেছে। এই গর্তের কারণে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছে পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহনের চালকরা।

 

এই খানাখন্দের কারণে দ্রুতগামী গাড়ি স্লো করতে বাধ্য হয়। এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। এমনকি এর কারণে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটতেও দেখা যায়। এ চিত্র শুধু চাষাড়ার নয়। পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়ক জুড়েই এই অবস্থা বিদ্যমান। তবে সবচেয়ে বেগতিক অবস্থা শুরু হয় পুলিশ লাইনের পর থেকেই। পুলিশ লাইন থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত এইটুকু সড়কে বেশ কয়েকটি স্পটে বিশাল বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়ে আছে। এতে করে যাত্রী এবং চালক উভয়ই রয়েছেন ভীষণ বিপাকে। দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ।

 

আর যানজটের অবর্ণনীয় ভোগান্তির কথা না হয় তোলাই থাক। দীর্ঘদিন এই অবস্থা বিদ্যমান থাকলেও পরিস্থিতি উত্তরণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি কাউকে। এতে করে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। রাস্তার  দুপাশের জনসাধারণের সাথে প্রতিবেদক এ ব্যাপারে কথা বললে তাদের সম্মিলিত বক্তব্য হল গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির এ বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। তবে এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যেন উদাসীন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে রাস্তার এই ভঙ্গুর দশার কারণে। তবে ঘুম ভাঙেনি যেন কারো। তারা অতি দ্রুত কালক্ষেপণ না করে এ সড়ক সংস্কারের দাবি জানান। 

 

এ ব্যাপারে কয়েকজন চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, পঞ্চবটি থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত সড়কের যে পরিমাণ গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এতে করে গাড়ি চালানোই যেন দায় হয়ে গেছে। প্রতিদিন এ ভাঙা রাস্তার কারণে যানজট লেগেই থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। মাঝে মাঝে গাড়ি উল্টে যায়। দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। তিনি এসব খানাখন্দ মেরামত করার আহ্বান জানান। তা না হলে ভোগান্তি কোনোভাবেই কমবে না। তবে এলাকাবাসী এবং চালকরা অতি দ্রুত এ সড়ক সংস্কারের দাবি জানান আর তা না হলে ভোগান্তি তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। এস.এ/জেসি


 

এই বিভাগের আরো খবর