খানাখন্দে ভরা নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল-আদমজী সড়কের অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা। সড়কে অটোরিকশার দাপট ও বেহাল অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের শিমরাইল মোড় থেকে আইটি-স্কুল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় যানবাহন ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে থাকেন। সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
চিটাগাংরোড রোড থেকে চাষাঢ়ায় যাত্রী উঠানোর জন্যে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করে অসংখ্য ইজিবাইক। তবে কোনো নিয়মে বা শৃঙ্খলা মেনে নয়, যার যেখানে ইচ্ছে হয় সেখানেই পার্কিং করে রাখেন চালকরা। এ কারণে চিটাগাংরোড অংশে যানজট সর্বক্ষণের।
আদমজী-চাষাঢ়া সড়কটি শহরের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়ক। এখানে আদমজী ইপিজেড, ডিপিডিসির কার্যালয়, সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো, সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন, আদমজী ইপিজেড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, র্যাব-১১ এর সদর দপ্তর, সিদ্ধিরগঞ্জ টেলিফোন অফিস, পদ্মা ও মেঘনা ডিপোসহ সড়কের দুপাশে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ শত শত বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করে।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রী জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। এতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখনো পর্যন্ত সংস্কার না করায় পুরো সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কর্মজীবীদের কর্মস্থলে যাতায়াতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কবে নাগাদ এ কষ্টের অবসান ঘটবে সেটি জানা নেই।
অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন জানান, সড়কের দুরবস্থার কারণে বড় বড় যানবাহনগুলো কোনোভাবে চলাচল করতে পারলেও অটোরিকশা নিয়ে এ সড়কে চলাচল করা অসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সময় অটোরিকশা কাত হয়ে যায়। অনেক যাত্রী পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন। এন. হুসেইন রনী /জেসি