সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

খেয়াঘাটে যাত্রিদের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

হাসিবা নিঝুম

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২২  


# ঈদের আগে যাত্রী হয়রানি চরমে
# ইজারাদারও করেন খারাপ ব্যবহার


নারায়ণগঞ্জের সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকেই বন্দর এলাকাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীতলক্ষ্যা নদীকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের অন্যতম নদী বন্দরটিকে ঘিরেই নারায়ণগঞ্জের সুনাম আজ বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে গেছে। সেই নদী বন্দর ঘেঁষা খেয়াঘাটটি নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে ব্যস্ততম খেয়াঘাট। ১নং খেয়াঘাট বা সেন্ট্রাল ঘাট নামে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরবাসীর মধ্যে অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যমও এই ১নং খেয়াঘাট।

 

তাই খেয়াঘাট হিসেবে এই ঘাটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ ঘাটেই এখন যাত্রীদের হয়রানি দিন দিন চরম আকার ধারণ করেছে। এই ঘাটটি দিয়ে নৌ চলাচলে মাঝিরা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কাই করছে না। ফলে এ ঘাটে প্রতিনিয়তই ঘটছে নৌ দুর্ঘটনা। সম্প্রতি নৌকা ডুবির ঘটনাসহ একাধিক হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এ ছাড়া মাঝি সমিতির নামে চাঁদাবাজিও চলছে নিয়মিত। মাঝি সমিতির প্রভাব দেখিয়ে মাঝিরা অনেক সময় যাত্রীদের সাথে র্দুব্যবহারসহ নানা ধরনের হয়রানির করে থাকে। কেউ ব্যবহারিক মালামাল নিয়ে এলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে। কোন যাত্রী এর প্রতিবাদ করলে  মাঝিরা মিলে ঐ সকল যাত্রীদের লাঞ্ছিত ও নাজেহাল করে থাকে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর এই এলাকাটি খুবই সরু। অন্যদিকে এই খেয়াঘাট সংলগ্ন লঞ্চ টার্মিনাল থাকায় এবং প্রচুর বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করায় এখান দিয়ে নদীটি খুবই ব্যস্তততম সময় পার করে। নদী দিয়ে আসা এসব বালুবাহী বাল্কহেডগুলোর বেপরোয়া চলাচলের কারনে প্রচন্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে মাঝিরা তাদের ছোট ছোট নৌকাতে অতিরিক্ত যাত্রি নিয়ে নদী পারি দেয়ার কারণে ঝুকিপূর্ণভাবে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। 

 

এখানে যাত্রীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ একেএম সেলিম ওসমান এই ঘাটের মাঝিদের সর্বোচ্চ ১৫ জন যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মাঝিদের মধ্যে সেই নিদের্শ মানার কোন লক্ষণই দেখা যায়নি। বেশির ভাগ নৌকায়ই ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী বহন করে থাকে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। এতে করে নৌ দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। খেয়াঘাটে এক কলেজ ছাত্রী মারিয়া রাশিদ জানান, কলেজে যাতায়াতের জন্য তিনি প্রতিদিন এ খেয়াঘাট দিয়ে নদী পার হন। প্রায় সময়ই নদী পার হওয়ার সময় মাঝিরা নৌকায় এত যাত্রী উঠায় যে, তাতে ভয়ে ভয়ে নদী পারি দিতে হয়। 


 
আরেক যাত্রী জালাল উদ্দিন জানান, তিনি একজন ব্যাবসায়ী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘাট দিয়ে সাধারণত মানুষ চলাচল করার সময় ঘাটে তাদের টোল রাখা হয় ২টাকা। কিন্তু তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কোন জিনিসপত্র পারাপার করতে চাইলে তার ভাড়া বাবদ কয়েকগুন টোল রাখেন। দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইজারাদাররা খুবই খারাপ ব্যবহার করেন।


 
তবে নৌকার মাঝিরা অতিরিক্ত লোক নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তারা কোন প্রকার বেশি লোক নেন না। তারা জনপ্রতি ৫ টাকা করে ভাড়া নেন এবং রিজার্ভ ৪০ টাকা করে নেন বলে জানান তারা।এমই/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর