গত ১৬ বছরে হওয়া গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
গত ১৬ বছর ধরে র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হওয়া গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে ৫ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, নূর খান, নাবিলা ইদ্রিস ও সাজ্জাদ হোসেন।
‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুসারে কমিশন তদন্তকার্য সম্পন্ন করে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিশনের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক এবং কমিশনের সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের মর্যাদা এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করিবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬– এর ৩ ধারার ক্ষমতাবলে আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করলো।
কমিশনের কার্যপরিধির বিষয়ে বলা হয়েছে- (ক) বিগত ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করা।
(খ) জোরপূর্বক ঘুম হওয়ার ঘটনাসমূহের বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা এবং এই বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা।
(গ) জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের আত্মীয়- স্বজনকে অবহিত করা।
(ঘ) জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা। এন. হুসেইন রনী /জেসি