সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

গরম শীতকালীন সবজির দামে আগুন, দাম বেড়েছে চাল-মুরগিরও

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২২  

 


নারায়ণগঞ্জে গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে চাল, সবজি ও মুরগির। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নগরীর দিগুবাবুর বাজার  ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। দিগু বাবুর বাজারে বেড়েছে সবজির দাম।

 

 

শীত আসার আগে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। আকার ভেদে পাতাকপি ও বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।

 

 

টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৬০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা।

 

 

কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা। বাজারে কাঁচামরিচের প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

 

 

 

লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান মিয়া বলেন, শীতকালীন নতুন সবজি বাজারে আসছে। শীতকালীন সবজির দাম একটু বেশি। সবজির সরবরাহ বাজারে কম থাকায় দাম বেড়েছে।

 

 


এদিকে, বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

 

 


বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। আগে খোলা চিনির কেজি ছিল ৯০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আগে প্যাকেট চিনি কেজি ছিল ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।

 

 

এছাড়া বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের কেজি ১০০ টাকায়। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়।

 


কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চালের দাম এখনও বাড়তি। নৌটা চালের মধ্যে পাইজাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। বি আর ২৮ চালের দাম ২ টাকা বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট চালের কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। মান ভেদে বাজারে নাজিরশাইল চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়।

 

 

এ বাজারের চাল বিক্রেতা শিখর মিয়া বলেন, সিন্ডিকেটের কারণেই বাড়ছে চালের দাম। এখনও কমেনি চালের দাম। বাজারে ১-২ ধরনের চালের দাম কমলেও বাকি সব চালের দাম বাড়তি।

 

 

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

 


বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা।

 

 

সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। দিগুবাবুর বাজারের মুরগি বিক্রেতা সাকিব খান বলেন, ‘পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের অজুহাতের শেষ নেই। একেক সময় একেক কারণে বাড়িয়ে দিচ্ছে মুরগির দাম। এখন বলছে উৎপাদন কম থাকায় দাম বেড়েছে।’ এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর