সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

গরীব মানুষের কষ্ট আরো বেড়েছে, বন্ধ  হয়ে যাচ্ছে বহু মুদি দোকান

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২  

নারায়ণগঞ্জে পুজি খেয়ে পথে বসেছে বহু ক্ষুদে ব্যবসায়ী। এদের কেউ মুদি দোকানদার, কেউ তরকারী ব্যবসায়ী, কেউ ফল ব্যবসায়ী। তাদের বক্তব্য হলো আগের মতো বেচাকেনা নেই। জিনিস পত্রের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ এখন কম খাচ্ছে, কম কিনছে। আবার অনেকেই মুদি দোকানে বাকি খেয়ে সেই বাকির টাকা আর পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে বিভিন্ন মহল্লায় বন্ধ হয়ে গেছে বহু মুদি দোকান।

 

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকার গাবতলী সোসাইটির ম্যানেজার মামুন বলেন, অত্র এলাকায় প্রায় দেড়শত মুদি দোকান ছিলো। কিন্তু গত কয়েক মাসে বেশ অনেকগুলো মুদি দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। আগে একটা দোকান বন্ধ হলে বা কোনো দোকানদার পুজির অভাবে দোকান চালাতে না পেরে ছেড়ে দিলে সেই দোকান সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া হয়ে যেতো। কিন্তু এখন আর সেটা হচ্ছে না। একবার দোকান বন্ধ হলে সহসা সেই দোকান আর ভাড়া হচ্ছে না।

 

এভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। এতে বাঝা যায় কষ্টে আছে গরীব সাধারন মানুষ। এ ব্যাপারে একই এলাকার মুদি দোকানদার শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, আমি আমার দোকানে একই সঙ্গে মুদি সদাইপাতি, ফল এবং তরকারী বিক্রী করি। কিন্তু এখন আমি আমার ব্যবসা চালাতে হিমসিম খাচ্ছি। কারন আমার পুজি কমে গেছে। শাহাবুদ্দিন আরো জানান তিনি দশ বছর আগে রংপুর থেকে নারায়ণগঞ্জে এসেছেন। প্রথমে তিনি ভ্যান গাড়িতে করে ফল বিক্রী করতেন। পরে টাকা পয়সা জমিয়ে গাবতলীতে একটি দোকান ভাড়া নেন।

 

তিনি স্থানীয় সফি মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাই বাসা ভাড়া এবং দোকান ভাড়া সহ তাকে প্রতি মাসে আট হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হয়। তিনি বলেন গত কয়েক মাস ধরে আমার দোকানে বেচাকেনা কমে গেছে। কারন সব কিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়া মুদি দোকান চালাতে গেলে বাকি দিতেই হয়। কিন্তু সমস্যা হলো এখন বাকির টাকা তুলতে পারছি না। তাই লাভতো দূরের কথা দোকান আর বাসা ভাড়ার টাকা তোলাই এখন কষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আর বেশি দিন দোকান চালানো যাবে না।

 

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের পাইকারী বাজারেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। জানা গেছে সরকারী সংস্থা (টিসিবি) জানিয়েছে প্রায় প্রতিটি নিত্যপন্যের দামই বেড়েছে। বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি তিন থেকে সাত টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। মাঝারী চালের দামও বেড়েছে কেজি প্রতি দুই টাকা করে। ফলে নিন্ম আয়ের সাধারন মানুষের কষ্ট আরো বেড়েছে।এসএম/জেসি 
 

এই বিভাগের আরো খবর