মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১

গুরু মামলার আসামী হলেও শিষ্যরা নেই

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪  


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালিন সময় ছাত্রদের আন্দোলন পন্ড করতে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকানি ১৯ জুলাই দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে পন্ড করতে শামীম ওসমানের সাথে গুলি চালায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

 

 

সেই দিন তাদের গুলিতে অনেকেই আহত হন। জানা যায়, সেই ১৯ জুলাই রাত ১০টার দিকে দেওভোগ রাসেল পার্কের সামনে এক দল শিক্ষার্থীদের এলোপাথালী ভাবে মারধর করেন ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ ওমর খালেদ এপন। তার সাথে সে দিন রাতে আরও অনেক নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের উপর দফায় দফায় হামলা চালায়।

 

 

এছাড়াও গত জুলাই মাসে ছাত্রদের আন্দোলনকে পন্ড করার জন্য রাইফেল ক্লাবে শামীম ওসমানের সাথে দফায় দফায় মিটিং করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। কিভাবে ছাত্রদের উপর হামলা চালানো হবে সেই সব কথা বার্তা চলে সেখানে।

 

 

সেই সময় সেই মিটিংএ শামীম ওসমানের সাথে উপস্থিত ছিলেন ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ ওমর খালেদ এপন। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তারই গুরু মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব। জানা যায়, শামীম ওসমান সেই দিন আহসান হাবিব ও এপনকে দায়িত্ব দেন দেওভোগ এলাকার।

 

 

দেওভোগ এলাকায় কিভাবে ছাত্রদের আন্দোলন পন্ড করবে সেই ধরনের পরামর্শ দেন। শামীম ওসমানের পরামর্শে ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এর আদেশে ১৯ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ২নং রেল গেইট থেকে ডিআইটি এলাকায় ও রাসেল পার্ক পর্যন্ত ছাএদের উপর হামলার ব্যাপক ভুমিকা রেখে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব ও ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ ওমর খালেদ এপন।

 

 

সেই দিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কয়েকশত নেতাকর্মী নিয়ে হামলা চালায় আহসান ও এপন। এছাড়াও ৪ই আগস্ট দেওভোগ চুনকা পাঠাগারের সামনে থেকে ছাত্রদের হুমিয়ারী দিয়ে শহরে মহড়া দেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সেই সময় আনোয়ার হোসেনের দুই পাশে ছিলেন তার শিষ্য আহসান হাবিব ও এপন।

 

 

কিন্তু গত ৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আনোয়ার হোসেনের নামে একটি হত্যা মামলা হলেও মামলায় নেই তার দুই শিষ্য। এদিকে ৫ আগস্ট সরকার পদত্যাগের পর থেকে গা ডাকা দিয়েছে মহানগর আওয়ামীলীগের অনেক শীর্ষ নেতারা। তাদের মধ্যে দেওভোগ এলাকার আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী পালিয়ে রয়েছে।      

এই বিভাগের আরো খবর