শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

জানুয়ারির শেষেও বই পায়নি শিক্ষাথীরা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪  

 

রাত পোহালেই বছরের প্রথম মাসের শেষ কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এখানো তাদের হাতে সব বই পায়নি। নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারির ১ তারিখের মধ্যে বিনা মূল্যে প্রথম থেকে দশম শ্রেনির বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিবে বাংলাদেশ সরকার। পহেলা জানুয়ারি সারাদেশ সহ নারায়ণগঞ্জ বই উৎসব পালিত হলেও মাধ্যমিকের সব বই এখানো হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। পরে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে বই উঠলেও এখোনো ৪ টি বিষয়ের বই শিক্ষাথীদের হাতে পৌঁছায়নি বলে জানা যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা মধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে।

 

তাদের ভাষ্য মতে ছাপা খানা থেকেই বই ছাপানোতে এবার দেরি করার ফলে বই আসতেও দেরি হচ্ছে। এর ফলে শ্রেনিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠ দানে ব্যাঘাত ঘটছে। বিভিন্ন স্কুলে পাঠ দান চালু রাখতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পিডিএফের মাধ্যমে পাঠদান করে যাচ্ছেন। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়। এ বছর ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেনিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। কিন্তু ৮ম ও ৯ম শ্রেনির ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান বই ছাপানো শুরু হয় দেরিতে।

 

১ তারিখ বই না পেলেও ১০ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখোনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বই না পাওয়ার ফলে পড়াশোনায় ব্যহত হচ্ছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। এ বছর নারায়ণগঞ্জ মোট ৩৭ লক্ষাধিক বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

 

নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির একজন শিক্ষার্থীর কাছে বই হাতে না পাওয়ার বিষয় প্রশ্ন করলে সে যুগের চিন্তাকে বলে, আমরা ভর্তি হবার পর ১ তারিখেই সব বই পাইনি। এখানো আমাদের বিজ্ঞান বই আমরা হাতে পাইনি। আগের বছরের বই দিয়ে যে পড়বো তার কোনো রাস্তা নেই। কারিকুলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের সাথে আগের বইয়ের পড়া কিছুই মিলবে না। এর মধ্যে জানুয়ারি মাস শেষ এখানো বই না পেলে আমরা পড়বো কিভাবে?

 

নারায়ণগঞ্জ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান এ বিষয় বলেন, মাধ্যমিকের সব বই মোটামটি আমরা হাতে পেয়েছি তবে অষ্টম শ্রেনির বই এখোনো আমরা পাইনি। ২ বিষয় বই এখোনো আসেনি। বই না থাকায় সমস্যা তো হচ্ছেই। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা পাঠদান চালু রেখেছন। শ্রেনি কক্ষে শিক্ষকরা টিজির (টির্চাস গাইড) মাধ্যমে ক্লাস নিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যা শিখছে খাতায় নোট করে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বই না থাকার ফলে বাসায় গিয়ে আর সে বিষয়টি চর্চা করা হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

 

এ বিষয় নারায়ণগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক অফিসার মো ইউনুস ফারুকির সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেননি। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর