শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

জোড়া মন্ত্রীর আগমনে স্বর্গ হয়ে উঠেছিলো লক্ষ্যা নদী তীর

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২  

দুজন মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে মাছঘাট থেকে ৫ নং খেয়াঘাট পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা ও নোংরা আবর্জনা অপসারন করা হয়েছিলো। রেলমন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম সুজন ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গত ১৩ই জুন নারায়ণঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকা নিয়ে এ দুটি সরকারি সংস্থার মধ্যে বিজড়িত বিবাদ মেটাতে আসবেন 

 

এজন্য ১২ই জুন তড়িঘড়ি শীতলক্ষ্যা তীরবর্তী সকল অবৈধ স্থাপনা ও নোংরা আবর্জনা অপসারণ করে নদীর তীর কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছিলো। এ ঘটনার পর দুদিন যেতে না যেতেই আবার ফিরে আসতে শুরু করে পূর্বের উচ্ছেদকৃত অবৈধ দখল দারেরা। ইতিমধ্যে তাদের স্থাপনা গুলিও পূনপ্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং ফিরে এসেছে নোংরা আবর্জনা।

 

নগরবাসীর অভিযোগ, নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে একটু হাপ ছেড়ে বাঁচতে ও প্রকৃতির সৌন্দর্য সুবাতাস উপভোগ করতে সকাল বিকাল মানুষ এখানে এসে অবকাশ কাটায়। প্রাতঃ ও বৈকালিক ভ্রমন ছাড়াও বন্ধু বান্ধব নিয়ে গল্প করতেও সকাল বিকাল মানুষ শীতলক্ষ্যা পাড়ে আসে। 

 

অবৈধ স্থাপনা ও নোংরা আবর্জনা অপসারনের পর তারা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিলো। সে সময় নাগরিক কোলাহল থেকে দূরে শীতলক্ষ্যার তীরে বিশুদ্ধ বাতাতে শ্রান্তি দূর করতে আসা নারী পুরুষের ভীড়ও বেড়ে গিয়েছিলো। কিন্তু দুদিন পর আবার পূর্বের অবস্থা ফিরে আসায় তারা হতাশ হয়েছে। 

 

অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ দখলদারদের সঙ্গে এখানে মাদক বিক্রেতা এবং জুয়াড়ীরাও ফিরে এসেছে। ফিরে এসেছে মাদক সেবীরা। বর্তমানে মাদক সেবীদের সার্ভিসেন্টারে পরিণত হয়েছে ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর খেয়াঘাট পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীতীর। সন্ধ্যার পর এখানে নরক গুলজার হয়ে উঠে। নাকে এসে লাগে নরক থেকে উদগারিত মাদকের দুর্গন্ধ।এসএম/জেসি 

এই বিভাগের আরো খবর