রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২৩  


কখনো টিপটিপ, কখনো মাঝারি ধারার আকারে নামছে বৃষ্টি। গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মব্যস্ত নগরের পথচারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে নগরীর আশপাশের নিচু  এলাকার সড়কগুলোতে জমেছে পানি। অনেক এলাকায় বৃষ্টির পানির সঙ্গে নর্দমার পানি মিশে একাকার। সরেজমিনে দেখা যায়, গত তিনদিন ধরে থেমে থেমে নামছে বৃষ্টি।

 

 

বৃষ্টির কারণে সড়কের পানি জমে থাকা গর্তগুলো আড়াল হওয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। এছাড়াও সড়কে যানবাহন কম থাকা বৃষ্টি ভিজে হেঁটে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। গতকাল শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এলাকায় দেখা যায় বৃষ্টিতে সড়কে গর্তে জমানো পানি থাকায় একটি ইজিবাইক যাত্রী সহ উল্টে যায়।

 

 

এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মাঝেও নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা ও দুর্ভোগ। সকাল থেকে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতেই পারেনি। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম থাকায়  ভোগান্তিতে পরেন অফিসগামীসহ নানা পেশার মানুষ। কম গাড়ি থাকায় গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।

 

 

২০ টাকার জায়গায় দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। এবিষয়ে কাদির নামে একজন পথচারী বলেন, আমার বাসা নিতাইগঞ্জ এলাকা, আমি চাষাঢ়ায় একটি দোকানে কাজ করি। কাজ শেষে বাসায় রিকশা দিয়ে যাই, কিন্তু বৃষ্টির কারণে এখন রিকশাও পাচ্ছি না। যা পাই ভাড়াও বেশি। তাই হেঁটে হেঁটে বাসায় যাচ্ছি।

 

 

কামাল নামে একজন হকার বলেন, সড়ের পাশে আমার এইটি চায়ের টং রয়েছে, এখানে আমি প্রতিদিন চা বিক্রি করি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে লোক না থাকায় চা বিক্রি করতে পাচ্ছি না। আলমগীর নামে একজন রিকশা চালক বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি, আবার সড়কে যানজট। এই টানা বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালাতে আর পাচ্ছি না।

 

 

আর ১০০-১৫০ টাকার কাজ হলে বাসায় চলে যাবো। এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, এখন পূজার বেচা-কেনা। কিন্তু দুই দিন ধরে বৃষ্টি থাকায় ক্রেতা পাচ্ছি না। দোকানে অনেক মালামাল রয়েছে। বিক্রি না করতে পারলে স্টাফদের বেতন কি করে দেবো। দিগুবাবু বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, বারে শুক্রবার হওয়ায় অনেক সবজি এনেছি, কিন্তু বৃষ্টির কারণে ক্রেতা না থাকায় অনেক সবজি রয়ে গেছে।

 

 

এগুলো বিক্রি না করতে পারলে নষ্ট হয়ে যাবে। শহরের ২নং রেল গেইট এলাকায় জুতা সেলাই এর একজন পাদুকা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও ছাতা টানিয়ে বসে আছি, কিন্তু কেউ জুতা সেলাই করতে আসে না। কাল ৭০ টাকার কাজ করছি, আজ একনও কোন কাজ করি নাই। আমাদের কাজ না করলে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়।

 

 

এছাড়াও পঞ্চবটি এলাকায় একজন ইজিবাইক চালক বলেন, সড়কের অবস্থা অনেক খারাপ, অনেক জায়গায় গর্তে পানি জমা থাকায় গাড়ি আটকে যায়। এছাড়াও যাত্রী তেমন একটা নেই। উৎসব পরিবহনের একজন চালক বলেন, ২নং রেল গেইট থেকে চাষাড়ার মোড় পার  হতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট।

 

 

সড়কে কাজ করার কারণে অনেক যানজট। এছাড়াও বৃষ্টির মধ্যে যাত্রীও কম। কাশিপুর এলাকায় লিমন নামে একজন জানান, টানা বৃষ্টির কারণে আমাদের এলাকার বিভিন্ন সড়কে হাটু পানি। বৃষ্টির পানির সাতে ড্রেনের ময়লা পানি মিশে একাকার। এই ময়লার পানির কারণে জামা-কাপড় পরে হাঁটা যায় না।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর