রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ট্রাফিকে ২৫ লাখ টাকার উদ্যোগেও সুফল মিলছেনা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৩  

 

# গুটি কয়েক পুলিশ সদস্যর কারণে উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে

 

 

রমজানের রেহাই পেলোনা নারায়ণগঞ্জবাসী। রোজা রেখেও শহরে আটকে থাকতে হয় যানজটে। পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ব্যবসায়ী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানে ২৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা জেলা পুলিশ সুপার এর কাছে। সে ফল ভোগ করতে পারছে নারায়ণগঞ্জবাসী শহরে নেই কোন নিয়ন কানুন যে যেভাবে পারছে চালাছে গাড়ি।

 

ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা সকলে ঠিক মত ডিউটি করছে না। শহরে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা ও মিশুক প্রবেশ করায় যানজট বাড়ছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ থাকলেও কাজের বেলায় কিছুই না তারা। দেখা যায় শহরে ব্যাটারি চালিত কোন গাড়ি কোনভাবে প্রবেশ করবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় পুলিশ বক্স এর সামনেই সারাক্ষণ অবৈধ পরিবহনের স্ট্যান্ড তৈরি হয়ে গেছে। চাষাঢ়া মোড়েই পুলিশের সামনে রাজার মত করে মিশুক ও অটো রিক্সাগুলো চলাফেরা করছে। কারণ সে সকল গাড়িগুলো নাকি পুলিশ এর সাথে তাদের কানেকশন করা তাই তারা শহরে আসলে পুলিশ কিছু বলেনা তাদের।  

 

গত বছরের মত করে শহরে কমিউনিটি পুলিশ দিয়ে শহরে যানজট মুক্ত রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সেলিম ওসমানের সহযোগিতার টাকায় শহরে জিয়া হলের সামনে ২০ মার্চ ডাক ঢোল পিটিয়ে একশো কমিউনিটি পুলিশ সদস্য দিয়ে তার উদ্বোধন করেন জেরা পুলিশ সুপার। তার পরে প্রথম দুইদিন ভালোই ছিলো তার পরে এখন বর্তমানের শহরে প্রবেশ করছে ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা ও মিশুক অটো রিক্সা তাতে করে আবারো শহরে তৈরি হচ্ছে যানযট তাতে সমস্যায় পরছে রমজান মাসে সাধারণ মানুষ। 

 

২৫ লাখ টাকার মধ্যে বিকেএমইএ ১০ লাখ, এনসিসিআই ১০ লাখ এবং সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫ লাখ টাকাসহ মোট ২৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যে টাকাগুলো পবিত্র মাহে রমজান মাসে শহওে যানজট নিরাসনে কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যেমে ব্যয় করা হবে। সকল প্রকার ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজি বাইক, মিশুক মূল শহরে প্রবেশ নিষেধ না করতে পারে।

 

সে লক্ষ্যে চেক পোস্ট ও কমিউনিটি পুলিশের ডিউটি সমূহ হলো, জেলা পরিষদের সামনে, গভ:গালস্ হাই স্কুল, খানপুর, মিশন পাড়া ও স্বপ্ন বাজার এর সামনে, মন্ডলপাড়া ব্রীজ, রাসেল পার্ক রোড, ডায়মন্ড হাউজরোর্ড, ১নং রেল গেইট, পঞ্চবটি মোড়, নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ড, ২নং রেল গেইট, গলাচিপার মোড়, মর্ডান গ্যাপ, কালিবাজার, চাষাড়া, শিবু মার্কেট, জালকুড়ি, ভূঁইগড়, নবীগঞ্জ চৌরাস্তা (বন্দর থানা), রেইল গেইট (বন্দর থানা), ইপিজেড, চৌধুরীবাড়ী, পাগলা + কুতুবপুর রোডে এতো স্থানে পুলিশ ও কমিউনিটি সদস্যরা থাকলেও শহরে প্রবেশ করছে সকল ধরনের যানাবহন যার কারনে শহরে যানজট তৈরি হচ্ছে ।

 

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই এডমিন শেখ আব্দুল করিম বলেন, আমরা সব সময় কাজ করছি আমি শিকার করি য়ে শহরে কিছু অটো আছে বিভিন্ন স্থান দিয়ে তারা প্রবেশ করছে কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহরে বেশ কিছু হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে সেখানে রোগীরা এসব গাড়ি নিয়ে আসে তাই তাদের কিছুটা ছাড় দিতে হয়। তবে বর্তমানে কোথাও যানযট নেই আমরা সেভাবে কাজ করছি।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর