Logo
Logo
×

স্বদেশ

ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় ঢাকায় নিয়মিত যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি

Icon

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২১, ০৭:৫০ পিএম

ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় ঢাকায় নিয়মিত যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি

টানা প্রায় দুই মাস পর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হলো। গত দুদিন আগে থেকে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এতে সকালে যারা এতোদিন ট্রেনে চড়ে ঢাকায় গিয়ে অফিস করতেন তারা স্বস্থির নিশ্বাস ফেলছেন।

 

শহরের মাসদাইর বাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমাকে নিয়মিত ঢাকায় গিয়ে অফিস করতে হয়। আর এতোদিন বাস ও ট্রেন চলাচল না করায় আমারা যারা ঢাকায় গিয়ে অফিস করি আমাদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অনেক টাকা খরচ করে অটো রিকশা, ভ্যান অথবা সিনজিতে চড়ে অফিসে যেতে হয়েছে। তাও আবার ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হয়েছে।

 

বাসা থেকে রিকশায় করে চাষাঢ়া এসে সেখান থেকে অটো রিকশা বা সিএনজিতে করে সাইনবোর্ড পর্যন্ত যেতে হয়েছে। সাইনবোর্ড থেকে আবার অন্য অটো বা সিনজিতে যাত্রাবাড়ি যেতে হয়েছে। সেখান থেকে আবার বদল করে মতিঝিল যেতে হয়েছে। এতে বহু টাকা খরচ করতে হয়েছে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। কারণ নিয়মিত অফিসে না গেলে চাকুরী থাকতো না। মূলত চাকুরী বাঁচাতেই আমরা বেতনের সিংহ ভাগ টাকা যাতায়তে খরচ করেছি এবং বহু কষ্ঠ করেছি। এখন বাসের পর ট্রেন চালু হওয়ায় আমরা বেঁচে গেলাম। আমি নিয়মিত ট্রেনে যাতায়ত করি। এতে টাকা ও সময় দুটোই বাঁচে।

 

কারণ ট্রেনে কমলাপুর গিয়ে নামলে সেখান থেকে হেঁটেই মতিঝিলের অফিসে যাওয়া সম্ভব। তাই আমরা আশা করবো সরকার যেনো আর ট্রেন বাস ট্রেন চলাচল বন্ধ না করে। গতকাল চাষাঢ়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন ইসদাইরের লতিফুর রহমান জুয়েল। তিনি নারায়ণগঞ্জ থকে নিয়মিত ঢাকায় গিয়ে অফিস করেন। তিনি বলেন যেখানে লকডাউন চলাকালে প্রতিদিন ঢাকায় আসা যাওয়া করতে তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা খরচ হতো সেখানে এখন খরচ হবে সর্বোচ্চ একশ টাকা। কারণ আমি ট্রেনে যাতায়াত করি। আর ট্রেন ভাড়া খুবই কম।



এদিকে সরেজমিন চাষাঢ়া স্টেশনে দাড়িয়ে দেখা যায় প্রায় সব যাত্রীই মাস্ক পড়ে ট্রেনে উঠছেন। কেউ যদি মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠতে চায় তাহলে যাত্রীরাই তাকে উঠতে দিচ্ছে না। বাধ্য করছে মাস্ক পড়ে ট্রেনে উঠতে। আর স্ট্যাশনেই সস্তায় মাস্ক বিক্রী হচ্ছে। সেখান থেকে মাস্ক কিনে সেই মাস্ক পড়ে তারপর ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। যাত্রীদের এই সচেতনতা সত্যিই চোখে পড়ার মতো।

 

তাই ধারণা করা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা যদি এই সচেতনতা ধরে রাখেন তাহলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে অনেকে মনে করেন পুলিশ প্রশাসনেরও উচিৎ বাস ও ট্রেনে নজরধারী বাড়ানো। পুলিশ যদি কিছুদিন কঠোরতা দেখায় তাহলে পরিস্থিতি আরো পাল্টাবে বলে মনে করেন তারা। কোনো মতেই মাস্ক ছাড়া বাস ট্রেনে চড়তে দেয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন অধিকাংশ মানুষ।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন