শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে নিয়ে যাচ্ছে : মামুন মাহমুদ (ভিডিও)

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

 

নারায়ণগঞ্জকে উত্তপ্ত করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। যুগের চিন্তা অনলাইকে দেয়া এক স্বাক্ষাৎকারে মামুন মাহমুদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেখতে পাচ্ছি, নারায়ণগঞ্জে জিউস পুকুরকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের দুটি পক্ষের নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জকে  উত্তপ্ত করে ফেলেছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে নারায়ণগঞ্জ এগিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় ইস্যুকে টেনে এনে যারা নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করছে এর পরিণতি কি হতে পারে সেটি তারা ভাবছেনা। বিষয়টি যেহুতু আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব তাই নারায়ণগঞ্জকে উত্তপ্ত না করে, বিভক্ত না করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে ঠেলে না দিয়ে সমাধান করতে পারতো। উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দও এখানে অপরাজনীতি থেকে বিরত রাখতে পারতো।


মামুন মাহমুদ বলেন, আপনাদের কারণে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।রাস্তাঘাটের উন্নয়ন দেখিয়ে আপনারা জনগণতে শান্ত রাখতে পারবেননা। উন্নয়নের দিকে মনোযোগ না দিয়ে আপনারা জনগণের দৃষ্টি জিউস পুকুর কিংবা মসজিদের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো ব্যক্তিস্বার্থে করছেন। এখানে জণগণের কোন স্বার্থ নাই। মশার অত্যাচারে নারায়ণগঞ্জবাসী অতিষ্ট এনিয়ে কেউ কথা বলেনা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নাই, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খারাপ সেগুলো নিয়ে আপনারা বসেন, সমাধান করেন। জিউস পুকুরের বিষয়াদি আপনারা আইনী ভাবে মোকাবেলা করেন।


শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে মামুন মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী পার করছি। এখন একটি মিমাংসিত বিষয় নিয়ে আপনারা এখন তাঁর বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। দেশকে গণতন্ত্রহীনতার মধ্যে নিয়ে একনায়কতন্ত্র আড়াল করার জন্য একটার পর একটা ইস্যু তুলে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধার ঘোষকই নন, তিনি যেমন ঘোষক এবং তিনিই রণাঙ্গনের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা। কারণ তিনিই বলেছিলেন প্রথম, উই রিভোল্ট। সেসময় তিনি কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে গিয়ে সেটি দখল করেছিলেন।২৬ তারিখের পরেও বেশি কয়েকবার স্বাধীনতার ঘোষণা তিনি দিয়েছেন।


মামুন মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ যে ঘোষণা দিয়েছিলেন এর পরবর্তীতে এ ঘোষণার মধ্য দিয়েই এপ্রিলে মুজিবনগর সরকার গঠন হয়েছিলো এটি আমার মন্তব্য। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা তিনি না দিলে কিন্তু পরবর্তীতে মুজিবনগর সরকার গঠন হতে বেগ পেতে হতো। মিমাংসিত বিষয় নিয়ে অযথা জনগণকে উত্তপ্ত করবেনা। আসুন সবাই মিলে দেশটিকে ভালোবাসি, রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে আমরা দূরে যাই, দেশটাকে গড়ে তুলি। ৫০ বছরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসটি লিখতে পারিনি। হাজার বছরের সবচাইতে বড় অর্জন আমাদের স্বাধীনতা, এটাকে দিয়েই আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখি। স্বাধীনতার চেতনা থেকে যাতে আমরা বিচ্যুত না হই।      

এই বিভাগের আরো খবর