সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগান্তি অব্যাহত নারায়ণগঞ্জবাসীর

নুরুন নাহার নিরু

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

 

তীব্র গ্যাস সংকটের কোন সুরাহা হয়নি এখনো। ভোগান্তি পোহাচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসী। গত এক মাস যাবৎ গ্যাস নেই বলে অভিযোগ করছে শহরের বাসিন্দারা। আগে কুপির মতো জ্বললেও এখন একেবারে পাচ্ছেন না তারা। এই নিয়ে তিতাস গ্যাসের বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাওসহ স্মারকলিপি দিলেও ভোগান্তি থেকে উত্তরণ মিলছেনা শহর বাসীদের। নারায়ণগঞ্জে নলুয়াপাড়া, জল্লারপাড়া,পাইকপাড়া,কলেজ রোড, ভূইয়াপাড়া, জামতলা, মিশনরোড, গলাচিপা, ভূইয়াবাগ,আমলাপাড়া, খানপুর, তল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। এ এলাকার মানুষেরা ঠিক সময় মতো রান্না করতে পারছে না।

 


নলুয়া পাড়ার এলাকা বাসীরা বলেন, আগে যাও  দুপুরের পর গ্যাস পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন সারাদিন অপেক্ষা করেও গ্যাসয়ের দেখা মিলছে না। সারাদিন গ্যাস না থাকলে ৫টার পর ঠিক গ্যাস আসতো। আর এখন এক মাস যাবত রাত ১১টার আগে গ্যাসের খোজ থাকে না। গ্যাস না থাকলে কি হবে প্রতি মাসে আমাদের গ্যাস বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।  

 


খানপুর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সময় মতো গ্যাস না থাকায় সকালের নাস্তা আমাদের  ১০টায় খেতে হচ্ছে। আর দুপুরের খাবারের কথা তো না বলাই চলে। হুজুর আছরের আযান দেয় আর আমরা দুপুরের খাবার খাই। কবে যে এই সমস্যার সমাধান হবে এ কথা বলে দীর্ঘ নিঃশাস ছাড়েন তিনি।

 


গলাচিপার নুরুল হোসেন যুগের চিন্তাকে জানান,  সকালে বাড়ি থেকে না খেয়ে কাজে যাই। দুপুরের খাবার ও বাড়িতে খেতে পারি না। কিন্তু মাস শেষে আমাদের বিল পরিশোধ করতে হয়। বিল না দিলে আবার লাইন কেটে দেয়। এভাবে চলতে থাকলে একদিন রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে।

 


জল্লারপার এলাকার সামশুন নাহার বলেন, রাত ১২টার পর চুলায় গ্যাস আসে আবার ফজরের আযানের আগেই চলে যায়। রাত জেগে রান্না করা তো সম্ভব হয় না। এতে আরো অসুস্থ হয়ে পরি। দিনের বেলা মাটির চুলা দিয়ে রান্না করে কোনো রকমে দিন চালাই। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সকালে না খাইয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দেই।  

এই বিভাগের আরো খবর