Logo
Logo
×

স্বদেশ

দর্শনার্থীদের ভিড়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা

Icon

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২১, ০৯:৪৭ পিএম

দর্শনার্থীদের ভিড়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা

প্রায় সাড়ে চার মাস বন্ধের পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন জানান, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এ চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত থাকবে।

 

শুক্রবার বিকালে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের ভিড়ে এবং মানুষের পদচারণায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন নগরীতে আবদ্ধ জীবন কাটানোর পর হাঁপিয়ে উঠেছেন তারা। এ জন্য একটু বিনোদন করতে পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন চিড়িয়াখানায়।

 

চিড়িয়াখানার ভেতরের প্রতিটি বন্যপ্রাণীর খাঁচার পাশে বিপুল সংখ্যক দশনার্থী ও শিশুর উপস্থিতি দেখা গেছে। প্রবেশ পথেও ছিল ভিড়। অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় আসছেন। এ সময় প্রত্যেক দর্শনার্থীকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক পরায় কর্তৃপক্ষের কঠোর তদারকি দেখা গেছে।

 

জানতে চাইলে চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. আব্দুল লতিফ বলেন, সকাল থেকে দর্শনার্থীদের জন্য চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। মাস্ক না পরলে কেউ টিকিট কাটতে ও প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিশ্চিত করা হচ্ছে। ভেতরেও যাতে কেউ জটলা করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

 

মিরপুর-১০ নম্বর থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন ব্যবসায়ী আরাফাত রহমান। তিনি বলেন, করোনা ও লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন বাচ্চাদের বাসা থেকে বের করতে পারিনি। গতকাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম আজ চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে। উন্মুক্ত আলো-বাতাস ও চিড়িয়াখানার পশুপাখি ও বন্যপ্রাণী দেখার জন্যই এসেছি। অনেক আনন্দ পেয়েছে বাচ্চারা।


৮ বছরের এক শিশু বলে, আগে কখনও বাঘ আর জলহস্তি দেখেনি। আমার ছড়ার বইতে দেখেছি। আজ বাঘ আর জলহস্তির সঙ্গে অনেক মজা করেছি। বাঘ আমাকে দেখে তেড়ে আসছিল। আমি দৌড়ে আম্মুর কাছে চলে গেছি। বাঘ তো খাঁচার মধ্যে থাকে, সে কারণে আমাদের খেয়ে ফেলতে পারেনি। জলহস্তিকে দেখেছি ঘাস খাচ্ছে। অনেক কাছ থেকে সবকিছু দেখেছি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন