শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১৩ ১৪৩১

দলীয় পদ থাকলেও চেয়ারম্যান হতে মরিয়া ফতুল্লার নেতারা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৩  


নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে সাবেক চেয়ারম্যান মৃত্য লুৎফর রহমান স্বপন এর মুত্যুর পর থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা। চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

 

 

যারা বেশির ভাগ রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক পদে। তবে নতুন করে চেয়ারম্যান এর পদটি খালি হওয়াতে অনেকটা মহা খুশিতে রয়েছে তারা। কারন তাদের কাছে পদ মানে সোনার হরিণ। এদিকে ফতুল্লা ইউনিয়ন নিয়ে নানা ধরনের রঙিন স্বপ্ন দেখছে ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। 

 

 

তবে চেয়ারম্যান দায়িত্ব পাওয়ার ২ বছরও স্থায়ীত্ব হলো না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে। জানা যায়,  গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর শনিবার তার নিজ বাড়িতেই অসুস্থ চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এবং তার মৃত্যুর একদিন পরই স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ (ইউনিয়ন পরিষদ) এর ৩৫(২) উপধারা ১ অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রিফাত ফেরদৌস ঘোষনা করেন, ২০০৯ (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন (৩৫) উপধারা (১) অনুযায়ী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ মোতাবেক ৮ আশ্বিন ১৪৩০ তারিখ হতে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ শুন্য ঘোষনা করা হয়। 

 

 

এদের মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন ফতুল্লা ডিপো যমুনা ও মেঘনা শাখা কমিটির সভাপতি মীর সোহেল আলী , ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১ নং কার্যকরী সদস্য ও ফতুল্লা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরিফুল হক, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব ফাইজুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য মো. মুজিবুর রহমান সহ বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন এর শূণ্য জায়গা পূরন করার জন্য তার পরিবার থেকেও চেয়ারম্যান হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

 

 

তবে দলীয় তথ্যসূত্রে জানাযায়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে গঠনতন্ত্র মোতাবেক একজন ব্যক্তি একাধিক পদে থাকতে পারবেনা। তবে এমটি মানছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে নারায়ণগঞ্জ এর নের্তীবৃন্দরা। প্রতিটি নেতার একার্ধীক পদ থাকার পরেও পদের জন্য পাগল হয়ে উঠছে তারা।

 

 

এমনকি নারায়নগঞ্জ চার আসনের এমপি শামীম ওসমান বিভিন্ন সভা সমাবেশে তিনি বলেন সাধারন মানুষের সেবা করার জন্য কোন পদ এর দরকার হয় না। কিন্তু তার অনুসারী ফতুল্লার নেতাকর্মীদের পদের লাইন অনেকটা লম্বা। শামীম ওসমানের অনুসারী হলেও মানতে নারাজ তার কথা তারা মনে করেন পদ মানে ক্ষমতা ও টাকা ইনকাম করার একটি সহজ ব্যবস্থা। 

 

 

এবিষয়ে ফতুৃল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান এম শওকত আলী বলেন, যে সকলে ব্যক্তি আওয়ামীলীগের একটি পদে আছে তারা অন্য কমিটিতে সদস্য পদে থাকতে পারবেন ও যারা নির্বাচন করবে তাদের বিষয়টি আলাদা। যেমন আমি সহ অন্য চেয়ারম্যনারা তো আওয়ামীলীগের কমিটিতে আছি।   

 

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল এ বিষয়ে বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তি যদি কোন কমিটিতে পদে দায়িত্ব পালন করে থাকে তাহলে অন্য সকলে কমিটিতে তাকে সদস্য পদ রাখা যাবে; কোন পদ দেওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের অনেক বড় দল তাই গুছিয়ে উঠতে পাড়ি নাই এখনো তে আমরা দলকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছি।  এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর