দাপা আদর্শ স্কুলে সরকারি নিয়ম অবমাননা করে চলছে পরীক্ষা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৬ পিএম
শিক্ষাবর্ষের তিন মাস চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির ১ম সাময়িক পরীক্ষার সূচিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের নিয়ে নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না।
সরকারি নিয়মিনীতিকে উপেক্ষা করে ফতুল্লা দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষা অবহৃত রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা বলছে পরীক্ষা ফ্রি হিসেবে সকলের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটারও নেতা কোন সুবিধা কোন প্রশ্ন পত্র না দিয়ে ব্ল্যাক বোর্ডে প্রশ্ন লিখে দিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষা পরিচালনা হচ্ছে। কিন্তু সরকার যে মাধ্যমিক শ্রেনির পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে নেই তাদের কোন হুদিস। এছাড়াও তারা পরীক্ষার নাম করে সেটার ফ্রি বাবদ সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শতটাকা। কিন্তু দিচ্ছে না কোন সুবিধা তা নিয়ে আলাপ আলোচনা ও ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করছেন অনেকেই।
জানা গেছে এর আগে, গত ১৩ মার্চ নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না বলে নতুন নিয়ম জারি হয়েছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক আদেশে এ নির্দেশনা দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না।
এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে পড়াতে হবে। নতুন চালু হওয়া ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন দেওয়া হবে এবং এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তা জেনেও অজানা ভাবে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফতুল্লা দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা নিয়মিত পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা অবগত হয়েছি। সরকার পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলেছে। কিন্তু তারা কোন কিছুর উপেক্ষা না করেই পরীক্ষা অবহৃত রেখেছেন আবার মাথা প্রতি সকল স্টুডেন্টদের থেকে ৪০০ টাকা করে পরীক্ষার ফ্রি নিয়েছেন। আর এরা টাকা নিয়েও প্রশ্নপত্র না দিয়ে ব্লাক বোর্ডে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে দাপা আদর্শ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব যুগের চিন্তাকে জানান, “পরীক্ষা চলেছে এটি সত্য। কিন্তু যখন আমরা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনির পরীক্ষা বন্ধের প্রজ্ঞাপন পয়েছি তখন পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের ৪টি পরীক্ষা পরিচালনা হয়েছে।
তারপর থেকে বন্ধ। আর আমরা কোন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে কোন ফি নেইনি। আপনি সকল গার্ডিয়ানদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারবেন। এন.হুসেইন/জেসি