রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

দীপকে নিয়ে প্রশ্নের কাঠগড়ায় সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৩  

 

# প্রস্তাবিত কমিটির আজব পরিচিতি সভা নিয়ে এখনো সমালোচনা থামেনি

 

 

সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির আজব পরিচিতি সভা নিয়ে এখনো সমালোচনা থামেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সক্রিয় নেতা এরফান হোসেন দীপকে থানার প্রস্তাবিত কমিটিতে স্থান না দিলেও প্রস্তাবিত কমিটির পরিচিতি সভায় এক গণমাধ্যম কর্মী সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বরাবর প্রশ্ন ছুড়েন থানা কমিটিতে না রাখার বিষয়ে।

 

তখন থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দীপ জেলা আওয়ামী লীগের ভালো জায়গায় থাকবেন তাই রাখা হয় নাই’। তবে তার জবাবেই প্রশ্ন থেকে যায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও একাধিক নেতা থানার প্রস্তাবিত কমিটিতে মূল্যায়িত হয়েছে। যার কারণে সোনারগাঁয়ের তৃণমূলের নেতাদের প্রশ্ন থানার সভাপতির বরাবর দীপের ক্ষেত্রে কোন ভিন্ন মতামত ঘটল।

 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সারা বাংলার এক সময়ের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবাররক হোসেনের সুযোগ্য পুত্র এরফান হোসেন দীপ। সক্রিয় ভূমিকায় সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে পর্দাপন করার পর থেকেই একজন সজ্জন তরুন উদীয়মান আদর্শিক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগে আলো ছড়াতে থাকেন।

 

যারা ফলাফল স্বরূপ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তৃণমূল আওয়ামীলীগসহ সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাদের জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসে। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এরফান হোসেন দীপের গতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফলে অত্যান্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে মূল্যায়িত করেন। কিন্তু সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে জেলা আওয়ামীলীগের নিকট প্রস্তাব করা হলে সে কমিটিতে এরফান হোসেন দীপকে কোন পদে পদায়ন করা হয়নি।

 

এছাড়া তৃণমূলের অভিযোগ রয়েছে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদায়নের ক্ষেত্রে সোনারগাঁয়ের বেশকয়েকজন নেতার নাম থানা আওয়ামীলীগ থেকে প্রস্তাব করলেও দীপের নাম প্রস্তাব করা হয়নি। পরবর্তীতে দীপের রাজনৈতিক যোগ্যতার ভিত্তিতে জেলার আওয়ামীলীগের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে স্থান করে দেন।

 

তবে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে দীপকে পদায়ন না করা বিষয়ে থানা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির পরিচিতি সভায় এক গণমাধ্যম কর্মী সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বরাবর প্রশ্ন ছুড়েন থানা কমিটিতে না রাখার বিষয়ে তখন থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রশ্নের জবাবে বলেন ‘দীপ জেলা আওয়ামী লীগের ভালো জায়গায় থাকবেন তাই রাখা হয় নাই’।

 

সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাব নিয়ে সোনারগাঁ তৃণমূলের নেতারা ফুঁসে উঠেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সভাপতিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে তৃণমূলের কর্মীরা। কারণ সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতারাও স্থান করে পেয়েছেন। সোনারগাঁয়ের তৃণমূলের নেতারা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সে স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- ‘সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হলো ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু ভাই তো নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তাহলে বিরু ভাই কি ভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নাম্বার সদস্য রাখা হয়েছে এবং শিল্পপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন সাহেব তো নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ সভাপতি মনির সাহেবকে দ্বিতীয় সদস্য রাখা হয়েছে এবং এস এম জাহাঙ্গীর সাহেব, তো নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক তাকেও থানায় রাখা হয়েছে ওনাদের রাখা হলো দীপ সাহেবকে কেনো রাখা হলো না আমার প্রশ্ন রইলো সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া সাহেব এর কাছে’।

 

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড.সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া যুগের চিন্তাকে বলেন, এরফান হোসেন দীপ আমার ছেলের বয়সী সে রাজনীতি করে আমাদের সাথে আসে না আমাদের কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে না আমাদের থানা আওয়ামীলীগের কমান্ড মানে না তাহলে তাকে কিভাবে থানা আওয়ামীলীগে রাখা যায়।

 

কর্মসূচি পালন করে সে আলাদা আলাদা সব কিছুতে সে আলাদা সে তার বাবা মোবারক হোসেন ফাউন্ডেশন করেছে সে ব্যানারে রাজনীতিটা করে। তাই আমরা জেলার নেতাদের বলছি সে যেহেতু আমাদের সাথে আসেই না তাদের বলেছি ভাল পদ দিয়ে দিতে সেখানে ভাল পদে সে মূল্যায়িত হয়েছে। তবে জেলায় পদায়নের ক্ষেত্রে থানা আওয়ামীলীগ থেকে তার নাম প্রস্তাব করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাই ভাইয়ের কমিটিতে যুব ক্রীড়া সম্পাদক পদে তার নাম এসেছে।

 

তিনি আরও বলেন, মূলত আমার ব্যাক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে তাকে থানা কমিটিতে রাখা হয়নি তা নয় সকলের মতামতের ভিত্তিতে তাকে রাখার ব্যাপারে ইচ্ছামত প্রকাশ না করায় তাকে রাখা হয়নি। এছাড়া জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও যারা থানায় পদে এসেছে তারা আমাদের সাথে আসে কাজ করে আমাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সে কারণে তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর