রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

দেশে দূর্নীতির মহারাজত্ব চলছে : সুমন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৪  

 

 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বলেছেন, বর্তমানে দেশের দ্রব্যমুল্যের দাম এতো বেশি যে মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খায়। দেশের মানুষ এখন আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে খেতে পারে না। এই সরকার দেশে দূর্নীতির মহারাজত্ব কয়েম করেছে। গতকাল শনিবার (২২ জুন) দুপুরে আড়াইহাজারের ইলুমদীতে সুমনের নিজ বাসবভবনে সুমনের আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এই সব কথা বলেন। 

 

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে সংকট চলছে, অবৈধ ভোটের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জনগণের রায়কে উপেক্ষা করেছে। আর এই দেশের ভোটকে এবং ভোটের সকল গণতান্ত্রিক সমস্ত প্রক্রিয়াকে ধ্বংর্স করেছে তখনই দেশে সকল প্রকারের সংকট শুরু হয়েছে। এই সরকার দেশে গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, আত্মীয়করণ, দলীয়করণসহ দেশকে বিক্রির যত রকম প্রক্রিয়া রয়েছে সবগুলো কয়েম করেছেন। 

 

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের আলোচিত সীমান্তে মানুষ হত্যা এই সরকার সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে ও পিছিয়ে রয়েছে। একটি স্বাধীন দেশ মানে কি তার জনগণ দেশে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে তাই তো, বাংলাদেশ থেকে তার স্বাধীন ভূখন্ড, বাংলাদেশের স্বাধীন ভূখন্ড সেন্টমার্টিন আরেকটি অঞ্চলে যাবে দেশের মানুষ কিন্তু গুলির জন্য যেতে পারে না। জাতিসংঘের হিসেবে এটি হলো যুদ্ধের সামিল।

 

 সুতরাং প্রতিবেশী বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রই মনে করে না, ভারত ও মনে করে না বারমা ও মনে করে না, তারপরে ও  এই সরকারের কোন প্রতিবাদ নেই। তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার মেরুদন্ডহীন রাষ্ট্রে বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছে। এটি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক প্রথম রাষ্ট্রপ্রতি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাই তিনি যেভাবে মুক্তিবাহিনী গঠন করেছিলেন, জেড ফোস গঠন করেছিলেন, ঠিক সেইভাবেই জন্ম থেকে চলছিলো বাংলাদেশ।

 

কিন্তু বাংলাদেশকে নিরাপদ দেখতে না পেয়ে এর পরই তিনি গঠন করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ রক্ষা, স্বাধীনতা রক্ষার নতুন বাহিনী সেই বাহিনীর নাম জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সেই বিগত দিনের মুক্তিবাহিনী এখন বিএনপি গণতন্ত্র মুক্তিবাহিনী। এই গণতন্ত্র মুক্তিবাহিনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া গণবিপ্লবের মাধ্যমে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বহুদলীয় গণতন্ত্র বাংলার মানুষের বুখে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

 

 ঠিক সেই গণতন্ত্র আবার ছিনতাই, ডাকাতি করে নিয়ে গেছে এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভুলে গেছেন শহিদ জিয়ার হাত ধরে তার দয়ায় কিন্তু এই অবৈধ শেখ হাসিনার দেশে আসা ও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হরণ করা এই গণতন্ত্রকে পূর্ণ উদ্ধারের জন্য জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। 

 

এই তারেক রহমান নির্যাতিত তিনি দেশে আসতে পারেন না, ভাইয়ের জানাযা পরতে পারেন না, অসুস্থ মাকে দেখতে পারেন না। একের পর এক ষড়যন্ত্র তার বিরুদ্ধে এই সরকার করেই যাচ্ছেন। যার মূল কারণ হলো এই সরকার দেশ নায়ক তারেক রহমানকে ভয় পায়। এই সরকার যানে যদি তারেক রহমান দেশে ফিরে আসে তাহলে দেশে গণবিপ্লব হবে। সে কারণে এই সরকার ভয় পায় এমনকি তার নেতৃত্বে থাকা বিএনপিকেও তারা ভয় পায়।

 

 যাকে ঘিরেই গত ১৫ বছর যাবৎ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন করেই যাচ্ছেন এই অবৈধ শেখ হাসিনা। কিন্তু বিএনপি তার পরে ও ভেঙ্গে যায়নি যার কারণ হলো দেশের বর্তমানের ৯০ ভাগ মানুষ বিএনপি সমর্থক। সকলের বিশ^াস আছে যে কোন সময় এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটবে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের জনগণ আবার সেই হারানো গণতন্ত্র ফিরে পাবে। 

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান,  মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুউদ্দিন, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন,

 

 সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু, মহানগর বিএনপির সদস্য শাহিন মিয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন, বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব রাইয়্যান, যুবদল নেতা জহির, ছাত্রদল নেতা রিফাতসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের আরো কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। 

 

এই বিভাগের আরো খবর