বুধবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১ ১৪৩১

নগরীর মার্কেটগুলো জমে উঠেছে পূজোর পোশাকে

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৪  


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ৯ অক্টোবর বুধবার মহাষষ্ঠী পূজা মধ্যে দিয়ে শুরু এবারের দুর্গোৎসব। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা সাজানোর পাশাপাশি উৎসবকে কেন্দ্র করে কেনাকাটায় জমে উঠেছে নগরীর মার্কেটগুলো। সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর চাষাড়, কালীবাজার, উকিলপাড়া, ডি.আই.টি সহ বিভিন্ন এলাকার ফ্যাশন হাউজ ও মার্কেটগুলো সেজেছে পূজোর পোশাকে।

 

 

উৎসবের রঙ লাল- সাদাকে  প্রধান্য দিয়ে বাহারি ডিজাইনের পোশাক কিনতে মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন সব বয়সী মানুষ। অনেকে নিজের পছন্দের পোশাক কেনার পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা চিন্তা করে কেনাকাটা করছেন। এদিকে পূজা উপলক্ষে কাপড়ের মার্কেট ও শোরুম গুলোতে মেয়েদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কালারের থ্রী-পিস, জামদানি শাড়ি, কাতান শাড়ি, তাঁত শাড়ি, বেনারশি শাড়ি, লেহেঙ্গা ও উড়না।

 

 

এছাড়াও ছেলেদের জন্যে রয়েছে বাহারি সব ডিজাইনের ধুতি, শর্ট পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট ও লুঙ্গি। আবার জুতার দোকানগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা। এ দিকে বিক্রেতারা জানান, এবার পূজা উপলক্ষে ফ্যাশন হাউজ ও মার্কেটগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি উঠেছে। এবার পূজায় শাড়ি, থ্রী পিচ ও কাটা থ্রী-পিচ বিক্রি ভালই যাচ্ছে। জামদানি ও কাতান শাড়ির চাহিদা বেশি।

 

 

কাতান শাড়ি ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ ও ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। জামদানি শাড়ি ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ ও ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, তাঁত শাড়ি ৪০০ থেকে ১২০০ ও ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বেনারশি ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি ও লেহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পূজোতে লুঙ্গি বিক্রি একটু বেশি হয়।

 

 

প্রতি লুঙ্গি ২৫০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মার্কেট গুলোতে শিশুদের পোশাকের বিক্রিও বেশি। পূজায় কেনাকাটা করতে আসা প্রিয়ন্তি দে নামে একজন ক্রেতা জানান, বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে কেনাকাটা করছি। যেহেতু আমাদের পূজা চার দিন থাকে তাই চার দিনের পরার জন্যেই চার রকমের জামা-কাপর কিনতে হবে। এছাড়াও পূজার শাড়ি মানেই লাল পাড়ে সাদা শাড়ি দশমীর জন্য।

 

 

অষ্টমীর দিনের জন্য কেনা হয়েছে থ্রী-পিচ, আর মেয়ের জন্যে কেনা হয়েছে অনেক কিছু। কিন্তু এবারে কেনাকাটা করে দেখলাম পোষাকের দাম আগের মতোই, দামাদামি করে কিনলে একটু কমে দাওয়া যায়। এবিষয়ে স্মরণ সাহা নামে আরও একজন ক্রেতা জানান, বাসা থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছি পূজোর কেনাকাটা করতে। বিভিন্ন মার্কেটেই ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করছি। ছেলে-মেয়ের জন্য কেনাকাটা শেষ এখন স্ত্রী ও মা-বাবার জন্য কেনাকাটা করব ও নিজের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, টি- শার্ট ও প্যান্ট কিনবো।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর