নগরীর স্কুলগুলোতে এখনও শুরু হয়নি বার্ষিক ক্রীড়ার কার্যক্রম
নুরুন নাহার নিরু
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
শৈশব হোক বা কৈশোর জীবন খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। কথায় আছে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। রোগমুক্ত জীবন-যাপন করতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর শারীরিকও মানসিক বিকাশ ঘটে। তাই শৈশব থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য প্রতিবছর প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের স্কুলগুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
সাধারণত নতুন বছরের শুরু থেকে অর্থাৎ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে স্কুলগুলোতে শুরু হয়ে যায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু এ বছর দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। কয়েকটি স্কুল ছাড়া এখনও অনেক স্কুলেই শুরু হয়নি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
নারায়ণগঞ্জ প্রেপারেটরি স্কুল, না.গঞ্জ আইডিয়াল স্কুল, আমলা পাড়া গারর্স স্কুল, না.গঞ্জ হাই স্কুলসহ অধিকাংশগুলোতে এখনও শুরু হয়নি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এখনও শুরু না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকরা বলেন, স্কুলগুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া শুরু করার জন্য একটা সরকারি নির্দেশন বা নোটিশ দেওয়া হয়। আমাদের কাছে আজকেই সেটা এসেছে। তাই এখন পর্যন্ত আমরা খেলা শুরু করিনি বা শিক্ষার্থীদের ও তাদেও অভিভাবকদের এ বিষয় নিয়ে কিছু জানাইনি।
এছাড়া মাত্র ২ দিন আগে নির্বাচন শেষ হয়েছে এখন পর্যন্ত অভিভাবকরা বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠাইনি। তবে শ্রেণির প্রতিটি কার্যক্রমও শিক্ষাদান যথা নিয়মে চলছে। ছাত্রছাত্রীরা আসুক দু-একদিনের মধ্যে খেলাধুলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিবো এবং ক্লাসে ক্লাসে নোটিশ ও পাঠিয়ে দিবো।
এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আগামীকাল নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিসে বার্ষিক ক্রীড়া নিয়ে মিটিং আয়োজন করা হয়েছে সেখানের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী খেলা শুরু করা হবে। কয়েকটি স্কুলগুলোতে শুরু হয়ে গেছে এমন কথার উত্তরে তিনি বলেন, কোন স্কুলে শুরু হয়ে আর কোন স্কুলে শুরু হয়নি তা দেখে ও জেনে আমার কোনো কাজ নেই।
বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকরা বলছেন, খেলাধুলা হলো শিশুর মেধা বিকাশের অন্যতম একটি উদাহরণ। বাচ্চারা যতো খোলামেলা পরিবেশে থাকবে, যতো খেলাধুলা আনন্দের মধ্যে থাকবে ততো তাদের মাইন্ড ফ্রেস থাকবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা অত্যন্ত জরুরি। এখনতার সময়ের বাচ্চারা তো খেলতেই চায় না। অবশ্য এতে তাদের কি দোষ? খেলার মাঠ থাকলে তো খেলবে।
পুরো শহরে এখন বড় বড় দালান কোঠা হয়ে গেছে। আবার দেখা যায় যেসব স্কুল গুলোতে মাঠ রয়েছে সেগুলো আবার শিক্ষার্থীদের তুলনায় আয়তনে ছোট হয়। ফলে কোনো বাচ্চা খেলে আবার কেউ খেলে না। প্রতিবছর তো জানুয়ারির প্রথম দিকেই বার্ষিক ক্রীড়া শুরু হয়ে যায় এবার হয়তো নির্বাচনের কারণে এখনও শুরু হয়নি। এস.এ/জেসি