# শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নতুন এই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন
আগামী বছর থেকে দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন এক শিক্ষাক্রম বা কারিকুলাম নিয়ে চালু করছে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালে প্রাথমিক শাখা থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রমে আসছে নানা পরিবতর্ন। নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়ে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। দশম শ্রেনির আগে সব পাবলিক পরীক্ষা বাদ করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও নবম শ্রেনিতে শিক্ষার্থীদের থাকছে না কোনো বিভাগ। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী একাদশ শ্রেনিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী মানবিক, ব্যবসাশিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে পারবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন এই শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেকে ভালো ভাবে নিলেও অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাই নতুন এই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
অভিভাবকদের মতামত, শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের পড়ালেখায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। পড়ালেখা শেষে যদি পরীক্ষা দেওয়া না লাগে তাহলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ কমে যাবে বলে মনে করেন অভিভাবকরা। আর না পড়লে শিখবে কীভাবে? পরীক্ষাবিহীন এই শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা থেকে আলাদা করে দিবে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
মুখস্থ বিদ্যার থেকে ব্যবহারিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পরিবেশে পড়ানোর পাশাপাশি মুখস্থ নির্ভতার পরিবর্তে দক্ষতা, সৃজনশীলতা, জ্ঞানও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে শেখাতে নতুন এই শিক্ষাক্রম চালু করা হবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যাণ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের এক অভিভাবক নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয় বলেন, আমার মেয়ে ক্লাস সেভেনে পরীক্ষা দিয়েছে। এ বছর জেএসসি পরীক্ষা না থাকায় তার পড়ায় যেমন কোনো আগ্রহই নেই। আগে সন্ধ্যা হলে সে পড়তে বসতো। এখন তাকে একেবারেই পড়তে বসানো যায় না। ক্লাস চলাকালীন অ্যাসাইনমেন্ট করতো। পড়ালেখায় যদি পরীক্ষাই না থাকে তাহলে কিসের পড়ালেখা হলো এটা।
এ বছর অষ্টম শ্রেনীর একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন পরীক্ষা বাদ দিয়েছে বিষয়টি আমি সমর্থন করছি না তবে বিভাগ নির্বাচনের বিষয়টি বাদ দেওয়ায় ভালোই হয়েছে। আমাদের সময় তো সবাই একই বিষয় পড়তাম পড়ে ইন্টারে আসার পড়ে বিভাগ করা হতো।
তবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ভালো প্রভাব পরবে বলেই সরকার যেটা করে ভালোর জন্যই করেন, নতুন একটা কারিকুলাম চালু করছেন, অবশ্যই সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালোই হবে। সরকার আমাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলামের মধ্যে আনবেন। আমাদের তাই নতুন কারিকুলামের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাও নিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের সেরা টাই দেওয়ার চেষ্টা করবো
শিক্ষাব্যবস্থার এমন পরিবর্তনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইউনুস ফারুকি যুগের চিন্তাকে বলেন, সরকার জনগনের জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে ভালোর জন্যই নেয়। শিক্ষামন্ত্রনালয়, এনসিটিবি সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আমি জেলা শিক্ষা অফিসার হয়ে এ বিষয় কী বা বলতে পারি। আর এই কার্যক্রম ২০২৪ সাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এখন এই বিষয় ভালো হবে না খারাপ হবে এ বিষয় কি কোনো মতামত দেওয়া যায়”? এস.এ/জেসি