রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

নন্দলালপুরে সুমা রোলিং মিলের বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী

আরিফ হোসেন

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৩  


নারায়ণগঞ্জ জেলা একটি শিল্পনগরী জেলা। এই জেলার এখন প্রচুর পরিমানে শিল্প প্রতিষ্ঠান ,গার্মেন্টস,রোলিং মেইল গড়ে উঠেছে । তবে নিয়ম অনুসারে এ সকল ফ্যাক্টরি, রিরোলিং মিল আবাসিক এলাকার বাহিরে থাকার কথা থাকলেও কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আবাসিক এলাকাতেই গড়ে তোলে এই সকল প্রতিষ্ঠান।
 

 

জানা যায়,শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতেই গড়ে উঠেছে প্রায় কয়েক হাজার ফেক্টরী যার বেশিরভাগই আবাসিক এলাকাতে। বিশেষ করে ফতুল্লার কুতুবপুরের নন্দলালপুরে  এ সকল রোলিং মেইল ,ফেক্টরী এই এলাকার মানুষদের জন্য বিষফোড়া হয়ে দাড়িয়েছে। আবাসিক এলাকায় এই সকল রোলিং মেইলের বিষাক্ত ধোঁয়া এলাকাবাসী ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

 

শুধু তাই নয় নন্দলালপুরের সুমা রোলিং মেইলটি শুধুমাত্র কারো ধোঁয়াতেই বিষাক্ত করছেনা বরং রোলিং মেইলের বিকট শব্দ আশেপাশের বাড়িঘরগুলোতেও কম্পন সৃষ্টি করছে। তবে এই সকল সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নন্দলালপুর এলাকার নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের বরাবর অভিযোগ জমা দেন।

 

 

আর এই অভিযোগে এলাকার সকল বাড়িওয়ালারা স্বাক্ষর দেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ নন্দরালপুরে মেডিকেল রোডস্থ সুমা রোলিং মিলের মেশিনারীজের আগুন ও ধোয়ার কারনে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়- ক্ষতি হয়ে আসিতেছে। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠান নতুন শেয়ারিং মেশিন ও ষ্টিল মোশন স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

 

ওই উক্ত মেশিন দুটি স্থাপন করিলে আমাদের পূর্বের চেয়ে আরও বেশি ক্ষতি হবে। আর এই সকল মেশিনের কারনে আমাদের বাড়িঘরে ফাটল ধরেছে। তবে সেখানে যদি নতুন করে আবারো মেশিন বসানো হয় তাহলে বড় ধরনের বিপদগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে জেলা  পরিবেশ অধিদপ্তরের গত মাসের ১২ তারিখে এ অভিযোগ পড়লেও এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

 

 

আর এ জন্য এলাকাবাসী অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করছেন এই সমস্যার সমাধান যদি এখনই না করা হয় তাহলে এই এলাকার মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই এই এলাকার মানুষ চায় আবাসিক এলাকায় যেন এই সকল রোলিং মেইল গুলো উচ্ছেদ করা হয় তাহলেই এই বিষাক্ত কালো  ধোয়া থেকে মুক্তি পাবে।

 

 

তবে প্রায় ১ মাস হলো পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি তাই সে বিষয়ে জানতে জেলা  পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কে বার বার ফোন করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।  এন.হুসেইন রনী /জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর