না.গঞ্জ-৪ আসনে এবার মূল টার্গেট বিএনপির দুই প্রজন্মের দুই নেতা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন এলাকায় বিএনপি নেতাদের মাঝে দুই প্রজন্মের দুইজনকে সহ্য করতে পারছেন না বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি।
বিএনপির পরিচিতি নেতাদের মাঝে ফতুল্লা এবং সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাসকারী অধিকাংশ নেতাই সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সাথে সখ্যতা রেখে রাজনীতি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই আসনে যারা শামীম ওসমানের কাছের লোক হিসাবে পরিচিত তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আজাদ বিশ^াস, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, সাবেক সদস্যসচিব পান্না মোল্লা সহ আরো অনেকে।
এছাড়া ফতুল্লা থানা বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী সহ আরো অনেকেই শামীম ওসমানের সাথে সখ্যতা রেখে রাজনীতি করে চলেছেন। তাদেরকে নিয়ে শামীম ওসমানের ব্যাক্তিগত কোনো মাথ্যব্যাথা নেই। কিন্তু সুযোগ পেলেই শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনিকে কোনো রকম ছাড় দিচ্ছেন না।
এরই মাঝে প্রবীন গিয়াস উদ্দিন এবং তরুন মশিউর রহমান রনির বিরুদ্ধে নতুন মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এই দুই নেতাকে গ্রফতার করানোর জন্যও সব সময় পুলিশের উপর চাঁপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন গিয়াস ও রনির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো।
কারন শামীম ওসমান হয়তো মনে করেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশ নেয় তাহলে গিয়াস উদ্দিন হবেন বিএনপির প্রার্থী এবং তাকে মোকাবেলা করা মোটেও সহজ হবে না। এমনিতেই তাকে নিয়ে শামীম ওসমানের অভিজ্ঞতা তীক্ত। কারন ২০০১ সালের নির্বাচনে গিয়াস উদ্দিনের কাছে হেরেছিলেন তিনি।
আর এ কারনেই নতুন করে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দিয়ে তাকে মাঠ ছাড়া করা হয়েছে। গিয়াস উদ্দিন এখন প্রকাশ্যে মাঠে নেমে দলের জন্য ভ’মিকা রাখতে পারছেন না। অপরদিকে সর্বশেষ মশিউর রহমান রনির বিরুদ্ধে আরো একটি ভয়নক অপরাধের মামলা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মাসদাইর এলাকায় কিশোর গ্যাং যে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে ওই মামলায় রনিকে আসামী করা হয়েছে।
মামলাটিতে জামিন অযোগ্য ধরা রয়েছে। অথচ রনি তখন নারায়ণগঞ্জেই ছিলেন না বলে জানা গেছে। তাই পুলিশ রনিকেও গ্রেফতার করার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে। রনির প্রতি শামীম ওসমানের আলাদা ক্ষোভ রয়েছে এ কারনে যে রনি ফতুল্লা থানা এলাকায় যুবকদেরকে বিএনপির পতাকাতলে একতাবদ্ধ করেছেন।
এরই মাঝে রনি দলের জন্য ত্যাগ শিকার করেছেন। বার বার গ্রেফতার হয়েছেন এবং চরম ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফলে রনি এখন ফতুল্লা থানা এলাকায় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন। তাই রনি এখন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের টার্গেটে পরিনত হয়েছেন বলে রনির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি দাবি করছেন। তাই এই মুহুর্র্তে গিয়াস উদ্দিন আর রনিকে ঠেকাতে শামীম ওসমান এমপি বেশ তৎপর রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এন.হুসেইন রনী /জেসি