বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ও বিকেএমইএ’র কাছ থেকে নেয়া চাঁদা ফেরত

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২৪  


গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের দুটি ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে নেয়া ৮ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজরা ফেরত দিয়েছে।  নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে তিন লক্ষ টাকা এবং রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ এর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকাসহ মোট ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছিলো রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তরা। নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের শীর্ষপদে বর্তমানে নতুন নেতা এসেছেন।  

 


গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় অবস্থিত বিকেএমইএ এর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুজ্জামান ও বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ কথা জানান।

 


চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুজ্জামান বলেন, ৫ আগস্টের পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে চাঁদা নেওয়া হয়েছিলো। তখন ব্যবসায়ীরাও আতংকগ্রস্থ হয়ে তাৎক্ষনিক সে চাঁদা প্রদান করে। পরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার পর বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আনা হয়। এছাড়া ব্যবসায়ীদের ঐক্যের কারণে চাঁদাবাজরা সে টাকা ফেরত দিয়েছে। তিনি বলেন, এটি চাঁদাবাজদের জন্য একটি ম্যাসেজ। নারায়ণগঞ্জে কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। তার বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

 


তবে চাঁদাবাজদের নাম জানাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, চাঁদাবাজরা চাঁদার টাকা ফেরত দিয়েছে এটাই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে আর কেউ নতুন করে ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করার  সাহস পাবে না। কারণ চাঁদার টাকা ফেরত দেয়াটা সামান্য কোন বিষয় নয়।

 


বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিকেএমইএ’র কাছ থেকে আসলে চাঁদা নেয়নি। এটি অন্য একটি ব্যাবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে আমার মাধ্যমে নিয়েছিলো। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা এক থাকাতে এখানে বড় ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। আগামীতেও হবে না আশা করছি। গার্মেন্ট সেক্টর এখানে শান্ত রয়েছে।

 

 

আশুলিয়ার সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে সমন্বিত চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতা শুরুতে কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে তারা বেশ তৎপর।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি