নিজামের সন্ধানে সহযোগী নান্টুকে গ্রেফতার চায় নগরবাসী
এম মাহমুদ
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৫ পিএম
নারায়ণগঞ্জের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাশী শাহ্ নিজাম এখন একাধিক হত্যা মামলার আসামী তাকে গ্রেফতারে হণ্য হয়ে ঘুড়ছে প্রশাসন। কিন্তু নগরবাসীর দাবি নিজামের সকল অপকর্মের সঙ্গ দেয়া তার একান্ত সহযোগী নান্টুকে গ্রেফতার করলেই মিলবে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাশী শাহ্ নিজামের সন্ধান।
কেননা আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান ও ভয়ঙ্কর সন্ত্রাশী শাহ্ নিজাম পালিয়ে গেলে পিঠ বাঁচাতে চাষাড়ার সায়াম প্লাজার নিজামের আস্তানা ফেলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় নান্টু। পরবর্তীতে আত্মগোপন থেকে নারায়ণগঞ্জের বর্তমান চিত্র নিজামের কাছে প্রচার করেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা যুগের চিন্তায় নিজাম ও নান্টরু অপকর্মের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পরই নড়ে চড়ে বসে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাশী শাহ্ নিজামের সেকেন্ড ইন কমান্ড নান্টু।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিষয় কয়েকটি হত্যার সাথে জড়িত থাকার সুবাধে সে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলার আসামী। যার কারণে প্রশাসন তাকে হণ্য হয়ে খুঁজছে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার জন্য। কিন্তু তার একান্ত সহযোগী নান্টু বেশ কয়েক দিন আগেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভয়ঙ্কর সন্ত্রাশী শাহ্ নিজামকে তার অস্ত্রর ভান্ডার থেকে অস্ত্র দিয়েছে।
আর সেই অস্ত্র দিয়ে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালিয়েছে নিজাম। এছাড়াও নিজামের সকল অস্ত্রের ভান্ডারই রয়েছে নান্টুর কাছে। যার কারণে শীঘ্রই নান্টুকে গ্রেফতারের আওতায় আনা গেলে নিজামের সকল অস্ত্র ভান্ডারও নিজামের সন্ধান মিলবে নগরবাসীর দাবী। নিজামের অপরাধের সাম্্রাজ্য চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি,জমি দখল, বিচার শালিশ, জুয়া এবং মাদকের আশর বসানো সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণে ছিল নান্টু। তবে এ সকল অপকর্মের দেখাবালে নিয়োজিত ছিল শাহ্ নিজামের ডান হাত খ্যাত নান্টু।
নান্টু হলেন চাষাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব থেকেই নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানের রাজনীতির আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। এছাড়া বহু আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাশী শাহ্ নিজামের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তবে শাহ্ নিজাম তার লালিত পালিত বিভিন্ন সহচর বন্ধুদের মধ্যে নান্টুকে তার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছেন। আর এই নান্টুর মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মহল থেকে চাঁদাবাজির অর্থ শাহ্ নিজাম সংগ্রহ করতেন।
এছাড়াও জমি দখলের কনটাক্টসহ বিচার শালিশের মাধ্যমে মোটা অংকের হাদিয়া আদায় করতেন নান্টু ভুক্তভোগীদের থেকে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত জুয়া এবং মাদকের টাকাও এই নান্টুর মাধ্যমে এই শাহ্ নিজামের কাছে পৌছাত। নিজামের সকল অস্ত্রের ভান্ডার দেখবালের দায়িত্বে ছিল নান্টু। এছাড়াও শাহ্ নিজামের সন্ত্রাশী মিশনেও সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখতেন নান্টু। যার কারণে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাশী শাহ্ নিজামের সকল অপকর্মের স্বাক্ষী বলা চলে নান্টুকে। যার কারণে নগরবাসীর দাবী ভয়ঙ্কর সন্ত্রাশী শাহ্ নিজামকে গ্রেফতার করতে হলে তার সহযোগী নান্টুকে গ্রেফতারের আওতায় আনতে হবে।