বৃহস্পতিবার   ১২ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩১

নেতার নামে ব্যবসা  নিয়ন্ত্রণে ভাই-ভাগিনা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪  

 


সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর ও শাসনগাঁও বিসিক এলাকার সকল প্রকারের শিল্প-কারখানাগুলোর ঝুট সেক্টরসহ সুতার কোন, কার্টুনসহ বিভিন্ন ওয়েস্টেজ পণ্যের ব্যবসা যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন অয়ন ওসমান ও আজমেরী ওসমান। এ মধ্যে অয়ন ওসমানের অংশটি নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল।

 

 

এরা প্রকাশ্যে না থেকে তাদের ঘরের আত্মীয় স্বজন চাচাতো ভাই-খালাতো ভাইদের দিয়েই সব নিয়ন্ত্রণ করতেন। একইভাবে পটপরিবর্তনের পর কিছুদিন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পরে পালিয়ে মালেশিয়া চলে যান কুখ্যাত এই রিয়াদ-রাফেল। যাকে ঘিরে বিগত দিনে মাসদাইর-বিসিকে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল ও ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদের খালাতো ভাই জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি ও তার বড় ভাই শেখ রুবেল এবং ভাগিনা মাহফুজুর রহমান সিফাত।

 

 

সব কিছুর পেছনে নিয়ন্ত্রণদাতা মশিউর রহমান রনি হলে ও কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই সব কিছু দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন রনির বড় ভাই শেখ রুবেল ও ভাগিনা মাহফুজুর রহমান সিফাত। জানা গেছে, বর্তমানে মাসদাইর ও বিসিকে এমন কোন হেয় অপকর্মের বিষয় জানেন না রুবেল তা নেই।

 

 

এ দিকে সূত্র জানিয়েছে, পট পরিবর্তনের পর মশিউর রহমান রনির শেল্টারে তার ভাই-ভাগিনারা মাসদাইর পাকাপুল এলাকার রূপায়ন ভবনের পিছনের একটি অসহায় জায়গার মালিকের উচ্ছেদ করে সেটা মাসদাইরের সুমন গার্মেন্টসের মালিক সুমনের দখলে দিয়ে দেয় শুধু মাত্র ১৫ লাখ টাকা ক্যাশ ও প্রতি মাসে ফ্রী ১৫ লাখ টাকার ওয়েস্টিজ বদৌলতে। যে বিষয় বর্তমানে অনেকটাই আলোচিত বলে জানা গেছে।

 

 

এদিকে বর্তমানে রনির ভাই শেখ রুবেল ও ভাগিনা মাহফুজুর রহমান সিফাতসহ রনির ফুপাতো ভাই আতাউর মেম্বার, এনায়েতনগর ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেম্বার প্রার্থী রোজিনা আক্তারসহ আরো বেশ কয়েকজনের মাধ্যমেই মাসদাইর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পায়তারা করছেন এই যুবদল নেতা মশিউর রহমান রনি।  

 


সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে মশিউর রহমান রনি প্রকাশ্যে না আসলে ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের মাধ্যমেই সব নিয়ন্ত্রণ করছেন। এদিকে বিসিকের ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রথমে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার ঝুট সন্ত্রাস শ্রমিকলীগ নেতা কাইল্লা রকমতের কাছে ধারস্ত হন রনি।

 

 

পরবর্তীতে তাকে দিয়ে কিছু না করতে পারায় তার দুই ছাত্রলীগের ভাইয়ের মাধ্যমে (বিকেএমইএ) এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের কাছে ধারস্ত হন আর হাতেমের টোকেনে এনায়েতনগর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ঝুট সেক্টর দখলে নিয়ে তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছেন তিনি।  তা ছাড়া বিগত দিনে যুবদল নেতা রনির মৃত্যু দুলা ভাই ছিলেন বঙ্গবন্ধু লীগের মহানগর শাখার সভাপতি এবং তিনি ছিলেন বিসিকের অন্যতম ঝুট সন্ত্রাসদের মধ্যে একজন।

 

 

বিগত দিনে তারই ছোট ছেলে মাহফুজুর রহমান সিফাত ছাত্রলীগের পদ নিয়ে রাফেল ও রিয়াদের সাথে বিসিকের ৩০টি নিটিংয়ের ঝুট নিয়ন্ত্রণ করতেন। পট পরিবর্তনের পর ছাত্রলীগ মামার পিছু ছেড়ে এসেছেন যুবদল নেতা মামার ছায়াতলে আর নিয়েছেন ২৯টি নিটিং। এদিকে আগামীতে বিভিন্ন টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণ ও এই সিফাতের মাধ্যমে করানো হবে বলে ধারনা করছেন সুধিমহল।

 

 

অন্যদিকে রনির বড় ভাই রুবেলের মাধ্যমে বিসিক এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টসসহ মাসদাইর এলাকার সেঞ্চুরী, সুমন, আমেনা গার্মেন্টস, ফারিয়া সবই নিয়ন্ত্রণে পাশে থাকেন রনির ভাই শেখ রুবেল। বিগত দিনে একটু এলোমেলো থাকলে ও বর্তমানে রনির ভাই পরিচয়ে পুরো মাসদাইর শহরে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন এই শেখ রুবেল।

 

 

এলাকাবাসীর দাবি করছে, বিগত দিনে রাফেল ও রিয়াদের নিয়ন্ত্রাধীন মাসদাইরে বর্তমানে রনি ও তার ভাই-ভাগিনা নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিগত দিনের সকল অপকর্ম একই অবস্থানে রয়েছেন লোক ও একই স্থানে রয়েছে শুধু কিছু কিছু নয়া লোক যোগ হয়েছে বলছে অনেকেই।       

এই বিভাগের আরো খবর