মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

পথশিশু নুপুরের অনেক কষ্ট  

মনি ইসলাম

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২১  

লকডাউনের কারণে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশেপাশের পথ শিশুরা হয়ে পড়েছে বেকার। লকডাউন এর আগে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যাদেরকে শহীদ মিনারের আশেপাশে একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে ফুলের মালা ও ফুল বিক্রি করতে দেখা যেত, এখন তাদের সেই দৃশ্য আর দেখা যায় না। এখানে লোকসমাগম নেই, তাই তাদের উপার্জনও নেই। তাইতো বড়ই কষ্টে আছে তারা।


 
এখানকার এক ফুল বিক্রেতা পথশিশু নুপুর বলে, ‘লকডাউনের কারণে এহন আমরা ফুল বেঁচতে পারি না। কাজকাম নাই তাই এইনে বইয়া বান্ধুবীর উকুন মারতাছি। আমি শিবু মাকের্ট থাহি, হেনতে হাইট্টাই এহানে আইছি, দেহি কিছু ফুল বেঁচতে পারি কী না। ঘরে চাইল শেষ, মা ভিক্ষা করে, অহন মায়ও ভিক্ষা করতে পারে না। সন্ধ্যার পর মানুষজন আইলে কিছু ফুল বেচমু।

 

আমার বাপে মইরা গেছে অনেক আগেই। আছি অনেক কষ্টে, অহন ফুলের দোকান বন্ধ। এক বুইড়া ব্যাডা আইয়া ফুল দিয়া যায়। ৫০ টেকার ফুল কিন্না বেঁচলে লাভ অয় ১শ থাইক্কা দেড়শ টেকা। এনে আমরা চাইরজন ফুল বেঁচি। এক জন অন্য পোলা পাইনরে ফুল বেঁচার জন্য ধরাই দেয়। ফুল বেঁচতে পারলে যারা হ্যাগো দেয় হেরা ৫ টেকা ওগো মজা খাইতে দেয়। আর যেই আফারা ফুল না নিয়া টেকা দেয় ওই টেকাডাই ওগো লাভ।’

 

সে আরো বলে, ‘আমি লকডাউনের পর আইজকা-ই নামছি। লকডাউন অইব আগে জানতাম, হেই কারণে আগে কিছু খাউন (খাবার) জমাই ছিলাম, তিনদিন ধইরা ওগোলাই খাইছি। অহন এইনে বইয়া আছি, সন্ধ্যার পর ফুল বেঁচতে নাম্মু। মার লাইগা খাউন নিয়া যামু। আমার বাইয়েরা (ভাইয়েরা) বিয়া কইরা আলাদা খায়। অহন আমি আর মা ছাড়া আমগো কেউ নাই।’
 

এই বিভাগের আরো খবর