রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পরিবহন চাঁদাবাজ ওয়াসিমের দৌরাত্ম্য

সাইমুন ইসলাম

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩  


#  যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে : টিআই করিম

# প্রমাণ করতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে : ওয়াসিম
 

পরিবহন  চাঁদাবাজি ও  যানজট বর্তমান সময়ে টক অব দ্যা টাউন। এ দুটো একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যানজটের নেপথ্যে অন্যতম বড় কারন পরিবহনে ষ্টিকার লাগিয়ে চাঁদাবাজি। যা মান্থলি নামে বহুল পরিচিত। এসব মান্থলির প্রচলন করে শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ব্যাটারি চালিত বাহনকে শহরে প্রবেশ প্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করছে সহায়তা করছে ওয়াসিম নামের এক  ব্যাক্তি। 

 

 

সরেজমিন পরিদর্শনে ও তথ্যমতে, এই অভিযুক্ত ওয়াসিম প্রথমে অক্টোবর ২০২২,নভেম্বর ২০২২ লেখা সম্বলিত চাবির রিং তৈরি করে সেগুলো তার মান্থলি করা গাড়িতে বিতরণ করতো। গাড়ি আটকালে এই বিশেষ চাবির রিং দেখালে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হতো। পরবর্তিতে চাবির রিং এ লেখা পরিবর্তন করে লিখে দেওয়া হয় উল্টো পথে গাড়ি চালানো নিষেধ ও ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।

 

 

অর্থাৎ তার চাঁদাবাজির ধরন খুবই ইউনিক। কেউ যেনো বুঝতে না পারে সেজন্য সে এ পদ্ধতি অনুসরন করেছেন। বর্তমানে সে আমন্ত্রণ মটরস লেখা সম্বলিত চাবির রিং ও মেসার্স আল ওয়ালিদ ষ্টোর নামক ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করে তার চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এ চাঁদাবাজির জন্য ওয়াসিম রিপন ও রফিক নামের ২ জন ম্যানেজার ও রেখেছেন।

 

 

যাদের কাজ ওয়াসিম এর কার্ড ও রিং বিতরন করে চাঁদাবাজিকে আরোও প্রসারিত করা।  ওয়াসিম কে বেশিরভাগ সময় শিবু মার্কেট ট্রাফিক পুলিশ বক্সে দেখা যায়। এমন এক পরিবহন চাঁদাবাজের সাথে ট্রাফিক পুলিশের সখ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে ট্রাফিক কার্যক্রমকে।অথচ রোজার মাস কে সামনে রেখে শহরে যানজট নিয়ন্ত্রনের লক্ষে ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে সেলিম ওসমান।

 

 

কিন্তু ওয়াসিম এর মতো চাঁদাবাজ যতদিন শহরে এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং এমন চাঁদাবাজদের থেকে স্বার্থ হাসিলের বিনিময়ে যারা ওয়াসিম কে চাঁদাবাজির সুযোগ করে দেয় তারা যতদিন দায়িত্বে থাকবে ততদিন শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে না বলে অভিমত সুধীজনদের। 

 

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওয়াসিমের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমেই তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বিকার করেন। তিনি বলেন তিনি এমন চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত নন। তিনি আরোও বলেন কেউ জদি এ অভিযোগ প্রমান করতে পারে তাহলে তাকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।  

 

 

এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (এডমিন) করিম যুগের চিন্তাকে জানান, প্রতিদিন অবৈধ গাড়ি আটক করা হচ্ছে। তবে ডাম্পিং এ জায়গা স্বল্পতার সিমাবব্ধতার কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি আরোও জানান, গাড়ি আটক করলে সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে এসে বলে গরিব মানুষ গাড়ি ধরছেন কেন।

 

 

আবার সাংবাদিকরাই ষ্টিকার ব্যবহার করে গাড়ি শহরে প্রবেশ করিয়ে যানজট সৃষ্টিতে সহায়ক ভুমিকা রাখছে। কারোও গাড়ি আটক করলে ফোন দিয়ে বলে ভাই গাড়িটা ছেড়ে দেন। তখন আমরা সাংবাদিক হিসেবে একটু আন্তরিকতা দেখিয়ে ছেড়ে দেই। তবে যখন এ ব্যাপারটা অনেক বেশি হয়ে যায় তখন আমাদেরও নিজেদের অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে অসুবিধা হয়।

 

 

তিনি আরোও জানান, বর্তমানে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়না। এ সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করছি। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন এ সংক্রান্ত ব্যাপারে অভিযোগ পেলে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

 

তবে সচেতন মহলের দাবি, যারা এসব চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত সে যেই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। কারন বিচারহীনতার প্রবনতাই এসব অপরাধের প্রবনতাকে বৃদ্ধি করছে। গাড়ি জদি শহরে প্রবেশই করতে হয় তবে মান্থলি চাঁদাবাজি বন্ধ করা হোক। সবাইকে প্রবেশের সুযোগ করে দেওযা হোক।

 

 

যারা চাঁদাবাজদের চাঁদা দেয় তারা প্রবেশ করতে পারে আর যারা চাঁদা দেয়না তাদের গাড়ি আটক কার হয় এ প্রবনতা বন্ধ করে পরিবহন চাঁদাবাজির ইতি টানার আহব্বান জানান সচেতন মহল।  এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর