Logo
Logo
×

অর্থ ও বাণিজ্য

পর্দা নামলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮ তম আসরের

Icon

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম

পর্দা নামলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮ তম আসরের

 

এ বারের বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৩৫.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৯১.৮২ কোটি টাকা)-এর রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে যা গত বছরের মেলায় প্রাপ্ত রপ্তানি আদেশেরে তুলনায় ১৭.২৫% বেশি।  ২৮ তম আসরের পর্দা নামলো ২০ ফেব্রুয়ারি।

 

ইপিবি ও বাণিজ্যমন্ত্রণালয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮ তম আসরের পূর্বাচলে স্থায়ী প্যাভিলিয়নে ৩য় আসর শেষ হলো। ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচীব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি।

 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, আয়োজক সংস্থার প্রধান ইপিবি'র ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। 


সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে  বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ২১ জানুয়ারি এ মেলা উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি পন্য ক্রয় করেছেন। পূর্বাচলে এ মেলায় লাখো লোকের সমাগমের পরিবেশ তৈরি করেছেন।

 

নারীদের সংগঠন জয়ীতা সংগঠনের মাধ্যমে নানা পন্য তৈরীর ও বিপননের ব্যবস্থা করেছেন।  রপ্তানি উন্নয়ন বিষয়ে আগামীর পরিকল্পনা হস্তশিল্পকে প্রাধান্য দেয়া।

 

যা ৬৮ হাজার গ্রামে এ কর্ম ছড়িয়ে দেয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, মেলায় এবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ির হুবহু করে রাখা হয়েছে। যাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের আত্নত্যাগ জানুক।

 

আগামীর মেলা দ্বিতল বিশিষ্ট করার পরিকল্পনা করেছি। যাতে সারা বছর নানা অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকবে এ প্রাঙ্গণ।  

 


সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, এ বছর মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্টে, বস্ত্র,মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস, ইলেক্ট্রনিকক্স পন্য, ফার্নিচার,  পাটজাত পন্য, গৃহসজ্জা,  গৃহস্থালী, চামড়া পন্য, ক্রোকারিজ ও হস্তশিল্পসহ শতাধিক পন্য প্রদর্শন করা হয়। মেলায় এবার ৩০৪ টি দেশী, বিদেশী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বিদেশী ৫ দেশের ৯ টি প্রতিষ্ঠান তাদের পন্য নিয়ে ছিলো।

 


ইপিবি সূত্র জানায়, এবার মেলায় সকল প্রকার তথ্য প্রদানের জন্য মেলায় স্থাপন করা হয় একটি তথ্য কেন্দ্র। সকল শ্রেণির সুবিধার্থে মেলায় নিশ্চিত করা হয় পর্যাপ্ত ব্যাংকিং সুবিধা, বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা, রক্তদান সেবা, নামাজ আদায়ের সুবিধা, দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য ও শোভন ইত্যাদি।

 

শিশুদের সেবা প্রদান ও জন্য স্থাপন করা হয় মা ও শিশু কেন্দ্র এবং শিশু পার্ক। মেলার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সাথে বিবেচনা নিয়ে এক্সিবিশন হলের বাইরেও নির্মাণ করা হয় পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেট এবং নিয়োজিত করা হয় পর্যাপ্ত সংখ্যক (১০০+) । এছাড়া, মেলার সার্বিক নিরাপত্তায় মেলা প্রাঙ্গণ ও আশে-পাশের অঞ্চলকে আনা হয় সিসিটিভি সার্ভেল্যান্স সিস্টেমের আওতায়।

 

মেলায় নিয়োজিত পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যের পাশাপাশি , অন্যান্য রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মেলার সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করেছে ফলে বড় ধরনের কোনি আপত্তিকর ঘটনা ব্যতিরেকেই মেলা শেষ হয়। যেকোন ধরনের অগ্নি দুর্ঘটনারোধে মোতায়েন করা হয় একটি শক্তিশালী ফায়ার ব্রিগেড। তবে কোন অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেনি।



মেলায় মান নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা হয়রানি বন্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে প্রত্যহ পরিচালনা করা হয় ভেজাল বিরোধী অভিযান। মেলায় ১১টি রেস্টুরেন্ট ছাড়াও সেন্টারের ভিতরে ৫০০ আসন বিশিষ্ট দর্শনার্থীদের জন্য সুলভ মূল্যে চমৎকার পরিবেশে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মেলার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখা ও ভোক্ত অধিকার পরিচালিত হয় মোবাইল কোর্ট।

 


মেলায় আনুমানিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় হয়েছে যা গত বছরের মেলায় বিক্রয়ের চেয়ে প্রায় ১৫% বেশি। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরির সেরা প্যাভিলিয়ন, স্টল ও প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা।

 

গত ২১ জানুয়ারি পূর্বাচলস্থ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল হতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছেমেলার ২৫টি পর্ব আয়োজিত হয়েছে শের-ই-বাংলা নগরের উন্মুক্ত মাঠেএই স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে ৩য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা যা দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপনন এবং দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।

 

এছাড়া, দর্শনার্থীদের বিনোদন, ক্রয়-বিক্রয় ও বঙ্গবন্ধু ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর ছিলো আকর্ষণের কেন্দ্র।  এন. হুসেইন রনী / জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন