রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পিচ্ছি বাপ্পীর কাছে হার মানলেন কাউন্সিলর খোরশেদ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৩  


# গলাচিপায় ড্রেনের ভিতর দিয়ে চলছে বাপ্পীর অবৈধ পানির ব্যবসা

# রবিউলে হোসেন এর শেল্টারে বেপরোয়া পিচ্ছি বাপ্পী
 

হালকা বৃষ্টিতে গলাচিপা এলাকার রাস্তায় পানি জমাট হওয়ার ঘটনা নতুন না তার মাঝে গলাচিপা রুপার বাড়ী ও চেয়ারম্যান বাড়ীর মূল সড়কে রাস্তাত ড্রেনের স্লাব তুলে তার ভিতর দিয়ে নেওয়া হচ্ছে অবৈধ পানির ও গ্যাস লাইনের পাইপ যাতে করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ড্রেনের ভিতরে ময়লা পানির চলাচল আর সাধারন মানুষে হচ্ছে যাতাযায়াতের সমস্যা।

 

 

যা প্রায় রাতে দেখা যেতো গলাচিপা এলাকায় ড্রেন এর স্লাব তুলে কি কাজ করছে রাত করে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন এর ১৩ নং ওয়ার্ডেও গলাচিপা রুপার বাড়ীর ও চেয়ারম্যানবাড়ীর রাস্তার ড্রেন গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা কারন এগুলা দিয়ে ওয়ার্ডবাসীর ময়লা পানির বদলে চলছে পিচ্ছি বাপ্পীর অবৈধ পানির ব্যবসা।

 

 

বারে বারে স্লাব উঠানোর কারনে তা যাচ্ছে ভেঙে ঠিক মত চলাচল করতে পারছে না যানাবহন সমস্যায় পরছে সাধারন মানুষ আর অবৈধ ভাবে টাকা কামিয়ে যাচ্ছে শাহআলম মুহুরীর ছেলে বাপ্পী।

 

 

১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রবিউলে হোসেন এর সহযোগিতায় গলাচিপায় এলাকয় নানা ধরনের অপরাধ করে বেরাচ্ছে পিচ্ছি বাপ্পী যার রয়েছে এলাকা রবিউরের মত এক বাহিনী যানা যায় গলাচিপা কুড়িপাড়ার মোড়ে একটি ক্লাব বানিয়ে বাপ্পী সেখানে চলে দিনরাত কিশোরগ্যাং এর আড্ডা ও মাদক সেবন এর মত ঘটনা।

 

 

তাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ কথা বলে তাদেও তার ক্লাবে নিয়ে করা হয় মারধর।তাই এলাকার মানুষ কিছু দেখের না দেখার মত করেই চলাচল করে। যার পিছনের রয়েছে রবিউল হোসেন এর আর্শীবাদ এর হাত।

 

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন এর ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ তার ফেসবুকে ৭ এপ্রিল একটি পোস্টে বলেন তা নিচে দেওয়া হলো, একটি ভয়াবহ চক্রের খপ্পরে গলাচিপাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি-খোরশেদ গলাচিপা এলাকার রুপারবাড়ী, চেয়ারম্যান বাড়ীর গলি সহ গলাচিপার মূল রাস্তার স্লাব তুলে ড্রেনের ভিতর দিয়ে অবৈধ উপায়ে পানির লাইন নিচ্ছে।

 

 

এই অপকর্মের প্রধান হোতা হচ্ছে শাহ আলম মুহুরীর ছেলে বাপ্পী। আগে করতো সাগর। বাপ্পী প্রায় দিনই স্লাব তুলে অবেধ ভাবে লাইন দেয়ার ফলে স্লাব গুলো ভেংগে গিয়ে জনগনের চলাচলের চরম বিঘ্ন ঘটছে। তারচেয়ে বড় সমস্যা আমরা পাইপের কারনে ড্রেন পরিস্কার করতে না পারায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

 

 

আমি গত ১ বছর যাবত অনেক চেষ্টা করেও তাদেও এই অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারিনি। জনগনও সচেতন হচ্ছে না। দয়া করে প্রথম ছবিতে দেখুন আজকেও রাতের আধারে (রাত ১:১৫ মিনিটের ছবি) স্লাব তুলছে। ২ ও ৩য় ছবিতে দেখুন কি পরিমান পাইপ ড্রেনের ভিতরে আছে। আপনারাই বলুন এই অবস্থায় কি ভাবে ড্রেন পরিস্কার ও স্লাব রক্ষা করা সম্ভব।

 

 

আমি এমতাবস্থায় পুলিশ প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ সমূহের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। ইনশাল্লাহ সকালে থানায় জিডি করবো। এবিষয়ে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, মানুষ বৈধ লাইনের জন্য টাকা দেয় আর ওরা ড্রেন থেকে অবৈধ লাইন দিয়ে দেয়।

 

 

আমি তাদের বিরুদ্ধে ফ্রেরুয়ারি মাসে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ও সিটি করর্পোরেশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। যারা সত্যিকার অর্থে পানির ভোক্তা, যারা পানির বিল দিচ্ছে, তারা পানি পাচ্ছে না।

 

 

তাদের জন্য আমরা চিন্তা করছি আগামী মাসে সকল অবৈধ পানির লাইন কেটে দিবো। আমাদের মেয়র এর সাথে কথা হয়েছে আমরা আগামী মাসে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবো।

এই বিভাগের আরো খবর